বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সাবেক সদস্য, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, সমাজসেবক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মীর কাসেম আলীর অবদান শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেছেন দলটির আমীর ডা. শফিকুর রহমান।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) জামায়াত আমীর এক বিবৃতি প্রদান করেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, মীর কাসেম আলী আজীবন বাংলাদেশকে একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও ইসলামী জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কাজ করে গেছেন। তিনি বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রতিষ্ঠাতা কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন। ইসলামী ব্যাংক ও বীমা, অসংখ্য মসজিদ-মাদরাসা এবং নানাবিধ ইসলামী ও জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কাছে স্বল্পমূল্যে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ায় তার উদ্যোগ ছিল যুগান্তকারী। দেশের জনগণ কৃতজ্ঞচিত্তে তার অবদান স্মরণ রাখবে।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ইসলামী আন্দোলনের সাথে সংশ্লিষ্টতার কারণেই আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করে এবং মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে। সরকার তার বিরুদ্ধে আনা কোনো অভিযোগই প্রমাণ করতে পারেনি। যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছিল, তার সাথে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল না। সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে তাকে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করা হয়। ২০১৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০টায় তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
তিনি আরো বলেন, দেশে তিনি যে জনকল্যাণমূলক কার্যক্রমের সূচনা করেছিলেন তা ইনশাআল্লাহ দীর্ঘকাল অব্যাহত থাকবে। তিনি তার কর্মের মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ে চিরকাল বেঁচে থাকবেন। আমরা মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি, তিনি যেন মীর কাসেম আলীর শাহাদাত কবুল করেন এবং তাকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করেন।
জামায়াত আমীর বলেন, ‘তার রেখে যাওয়া কাজগুলো সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য সংগঠনের সর্বস্তরের জনশক্তি ও দেশবাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।’