বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেছেন, জনগণের ওপরে দলীয় এজেন্ডা চাপিয়ে পার পাওয়া যাবে না। গতকাল শুক্রবার দুপুরে এক আলোচনায় সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির দাবি নিয়ে আন্দোলনরত দলগুলোর প্রতি তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।
তিনি বলেন, দেশকে একটা অরাজগক পরিস্থিতিতে ফেলতে চাচ্ছেন উদ্দেশ্যটা কী? দেশের মধ্যে একধরণের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা। কিন্তু মনে রাখবেন, এই বাংলাদেশ সেই বাংলাদেশ না। আপনি ইচ্ছা করলেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারবেন না। যেমন আপনারা (আলোচনা সভায়) এখানে বসে নির্বাচনের জন্য সুন্দর ব্যালট বাক্স নিয়ে এসেছেন, আপনাদের নির্বাচন কমিশন আছে, আপনাদের প্রার্থী আছে, সরাসরি ভোট হবে। আমি তাদেরও বলি, আসেন জনগণের কাছে যান। জনগণ যাকে গ্রহণ করে, আপনি আপনার এজেন্ডা নিয়ে যাবেন, আমরা আমাদের এজেন্ডা নিয়ে যাবো। জনগণ কাকে গ্রহণ করবে আমরা সেই এজেন্ডকে তাকে আমরা স্যালুট করব। কিন্তু কোনো অবস্থাতেই জনগণের কথা বলে জনগণের মতামতের ওপর আপনার দলীয় এজেন্ডা, গোষ্ঠী এজেন্ডা, কোনো দেশীয় অথবা আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের এজেন্ডা চাপিয়ে দিয়ে আপনি মনে করেছেন পার পেয়ে যাবেন সেটি বাংলাদেশের মানুষ ইনশাল্লাহ হতে দেবে না।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিক্যালস রিপ্রেজেন্টেটিভ অ্যাসোসিয়েশন (ফারিয়া)’ এর কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহিদ বলেন, পিআর চাই? এই ধরণের দাবি বলতে দোষ নাই। কারণ গণতন্ত্রের মধ্যে কথা বলবেন দিস ইজ দি বিউটি অব ডেমোক্রেসি এবং মত প্রকাশের যে ভিন্নতা থাকবে সেটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য এর মধ্যে কোনো সমস্যা নাই। কিন্তু যখন আপনি বলেন, আপনার কথা না শুনলে এটা হতে দেবো না, এটা করতে দেবে না তখন কিন্তু কর্তৃত্ববাদীতার আওয়াজ পাওয়া যায়। এটি করে আপনারা কী করতে চান? আপনারা কী নির্বাচনটাকে আরও প্রলম্বিত করতে চান।
জাহিদ বলেন, খালি দলবাজির জন্য, নিজের অবস্থানকে পাকাপুক্ত করার জন্য এবং জনগণ না চাইলেও জনগণের কথা বলে মতামত দেওয়ার দাবিদার হওয়ার জন্য আজকে এই সমস্ত দাবি তুলছেন। তারা সত্যিকার অর্থে নিজের বিবেককে প্রশ্ন করুন, আমি একথা আগে বলি নাই, আমি এই কথা কেনো বলছি? উদ্দেশ্য কী? তাহলে কী আমি স্বৈরাচারকে আসার জন্য একটা রাস্তা করে দিচ্ছি। আমরা আশা করব, সবাই অত্যন্ত দায়িত্বশীল রাজনৈতিক নেতৃত্ব, ব্যক্তিত্ব যাদেরকে দেশের মানুষ শ্রদ্ধা করে, বিশ্বাস করে বলে আমরা এখনো বিশ্বাস করি। কিন্তু তাদের আচরণ, কথা-বার্তা সেরকম হতে হবে যাবে বিশ্বাসটা ধরে রাথা যায়।
বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিক্যালস রিপ্রেজেন্টেটিভ অ্যাসোসিয়েশন (ফারিয়া) এর আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিবের সভাপতিত্বে ও রাশেদুল ইসলাম চৌধুরী সবুজ ও আরিফুল ইসলাম আরিফের যৌথ সঞ্চালনায় আলোচনা ফারিয়ার নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।