আজ পল্টনে বিশাল সমাবেশ পরবর্তীতে জামায়াতসহ ৮ দলীয় শীর্ষ নেতৃবৃন্দের এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে নেতৃবৃন্দ জুলাই সনদের আইনী স্বীকৃতি ও জাতীয় নির্বাচনের পূর্বেই গণভোটের ব্যাপারে দেশে চলমান আন্দোলনের ব্যাপারে সরকারের পক্ষ হতে কোন সিদ্ধান্ত না আসায় উদ্বেগ প্রকাশ করে দুটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা মামুনুল হক, খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীর মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা সারওয়ার কামাল আজিজী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)’র সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম চান।
আরো উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, মাওলানা জালাল উদ্দিন, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মাওলানা ইউসুফ সাদিক হাক্কানী, মাওলানা মুসা বিন ইজহার, অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, নিজামুল হকসহ ৮ দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।

বৈঠকে নেতৃবৃন্দ জুলাই সনদের আইনী স্বীকৃতি ও জাতীয় নির্বাচনের পূর্বেই গণভোটের ব্যাপারে দেশে চলমান আন্দোলনের ব্যাপারে সরকারের পক্ষ হতে কোন সিদ্ধান্ত না আসায় নেতৃবৃন্দ উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সেই প্রেক্ষিতে ৮ দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ চলমান আন্দোলনের পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে নিম্মোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
সিদ্ধান্ত সমূহ-
১. জুলাই সনদের আইনী স্বীকৃতি ও জাতীয় নির্বাচনের পূর্বেই গণভোটের ব্যাপারে দেশে চলমান আন্দোলনের ব্যাপারে সরকারের পক্ষ হতে কোন সিদ্ধান্ত না আসায় ‘জুলাই সনদের আইনী স্বীকৃতি ও জাতীয় নির্বাচনের পূর্বেই গণভোটের ব্যাপারে’ আলোচনার জন্য আগামীকাল ১২ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাতের সময় চাওয়া হবে।
২. প্রধান উপদেষ্টার সাথে আলোচনায় ‘জুলাই সনদের আইনী স্বীকৃতি ও জাতীয় নির্বাচনের পূর্বেই গণভোটের ব্যাপারে’ ফলপ্রসূ কোন সিদ্ধান্ত না আসলে আগামীকাল ১২ নভেম্বর ৮ দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ কঠোর কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবেন।