মহেশখালীতে তৃণমূল নেতাদের সমাবেশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য ডক্টর এ, এইচ,এম হামিদুর রহমান আযাদ বলেছেন, বর্তমান অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর জাতীর কাছে মৌলিক সংষ্কার করে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে জুলাই জাতীয় সনদ প্রণয়ন করতে যাচ্ছেন। এই জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেয়া না হলে দেশে সাংবিধানিক সংকট তৈরী হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই দেশে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য অবিলম্বে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারিতে স্ষ্ঠুু নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।

গতকাল শুক্রবার মহেশখালী উপজেলার ছোট মহেশখালী ও শাপলাপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আয়োজনে তৃণমূল নেতা কর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথাগুলো বলেন। পৃথক পৃথক মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন ছোট মহেশখালী ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মোঃ সোহেল শাপলা পুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মাওলানা মনির। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন কক্সবাজার জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি, অধ্যক্ষ আবু তাহের চৌধুরী, শামসুল আলম বাহাদুর, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মোঃ জাকের হোসাইন, উপজেলা জামায়াতের দক্ষিণের আমীর মাষ্টার শামিম ইকবাল, সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুর রহিম, মাষ্টার আনসারুল্লাহ হেলালী, নুরুল আমিন শান্তসহ তৃনমুলের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মহেশখালী কুতুবদিয়ার উন্নয়ন প্রসঙ্গে হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, আমাদের দুইটি উপজেলা অর্থনৈতিকভাবে অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। এখানে পর্যটন শিল্পের জন্য বিশাল সমুদ্র সৈকত,লবণ চিংড়ি পানসহ অনেক প্রাকৃতিক গ্যাস,মৎস্য, ইউরোনিয়েমের মতো মূল্য বান সম্পদ রয়েছে। যা নতুন অর্থনৈতক সমভাবনার দ্বার উম্মোচন করবে। এ সম্ভাবনাকে বিকশিত করার জন্য সৎ, যোগ্য নেতৃত্বের বিকল্প নেই। তিনি বলেন, মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্র বন্দর হচ্ছে। গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মানসহ মাস্টার প্লান বাস্তবায়ন হলে লক্ষ, লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। কোন মানুষ বেকার থাকবে না।

মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মানসহ মাস্টার প্লান বাস্তবায়ন করে মহেশখালী - কুতুবদিয়াকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে পারলে আমাদের দ্বীপ দুটি সিঙ্গাপুরকে ছাড়িয়ে যাবে। কেন্দ্রীয় নেতা হামিদ আযাদ বলেন, আমার ঘরে খাবারের আয়োজন চলবে আর পরিবারের সদস্যরা না খেয়ে থাকবে? তা কখনো হতে দেয়া হবেনা। তিনি গভীর সমুদ্র বন্দরে নিয়োজিত শ্রমিকের ৫০% শ্রমিক স্থানীয় ভাবে নিয়োগ দেয়ার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানান। ডক্টর হামিদুর রহমান আযাদ ২০২৬ সালের নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, আগামী নির্বাচন দেশ ও জাতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারন আগামী নির্বাচনই নির্ধারণ করবে দেশে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে নাকি আবার নতুন ফ্যাসিবাদের পুনঃউত্তান হবে। আগামী নির্বাচন নির্ধারণ করবে বাংলাদেশ ৫৪ বছরের ব্যর্থ রাজনীতির পথে হাটবে না নতুন ধারায় ক্ষুদা,দরিদ্র মুক্ত, চাঁদাবাজ, দখল বাণিজ্য ও দুর্নীতি মুক্ত নতুন বাংলাদেশ বিনির্মান হবে। সব কিছু নির্ভর করবে আপনার আমার সুচিন্তিত সিদ্ধান্তের উপর। তাই ২৪এর জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্প্রিটি ধারণ করে জুলাই সনদের সাংবিধানিক স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে অবাদ,সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণ যোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহবান জানান। প্রেসবিজ্ঞপ্তি।