বাউফল (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা : জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার শ্রেষ্ঠ সময়। তরুন ছাত্র সমাজ শুধু ২৪শের গণঅভ্যুত্থানে ভূমিকা রেখেছে তাই নয় ৭১ সালে, ৪৭, সালে ৫২, সালে ৯০ স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ভূমিকা রেখেছে। বাউফলে জুলাই আগষ্টের গণঅভ্যুত্থানে ৭ জন শহীদ হয়েছে, ২৫০ জন আহত ও পঙ্গুত্ব বরণ করেছে, যাদের অনেকে দেশের বাইরেও এখন ছিকিৎসাধীন রয়েছে। তাই তরুন ছাত্র সমাজ ঘোষণা করবে তারুণ্যে প্রথম ভোট ইসলামের পক্ষে হোক। গত ১০ জুন বিকাল ৩টায় বাউফল সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে ছাত্র ও তারুণ্যের সমাবেশে প্রধন অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ইসলামী ছাত্র শিবির বাউফল উপজেলা শাখার সভাপতি মো: লিমন হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদ, কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান সম্পাদক ডা. ওসামা রাইয়ান, কেন্দ্রীয় ছাত্র কল্যাণ সম্পাদক ডা. রেজওয়ানুল হক, পটুয়াখালী জেলা জামায়তের আমীর এডভোকেট নাজমুল আহসান, বাউফল উপজেলা আমীর মাওলানা মো: ইসহাক মিয়া, ইসলামী ছাত্র শিবির পটুয়াখালী জেলা সভাপতি মো: রাকিবুল ইসলাম নূর।

ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ আরো বলেন, তরুণ ছাত্র সমাজ ২০০৮ সালে প্রথম ভোটার হয়ে ভোট দিতে পারে নাই। ফ্যাসিষ্ট সরকার একটি ডামি নির্বাচনের আয়োজন করে একটি ডামি সরকার তৈরি করেছে। এই ডমি সরকারের মাধ্যমে একটি ডামি বিরোধীদল করেছে। দিনের ভোট রাতে দিয়ে আমাদেরকে শুধু ডামি ভোটারই তৈরি করে নাই একজনের ভোট আরেকজনকে দিয়ে আমাদেরকে ডামি নাগরিকে পরিণত করেছে। আর কোন ডামি ভোটার কিংবা ডামি নাগরিক বাউফলবাসী দেখতে চায় না। এক ফ্যাসিষ্টের উৎখাত করে দেশ ত্যাগের মাধ্যমে যে ফ্যাসিষ্টের কবর রচিত হয়েছে আরেক ফ্যাসিষ্টকে আমরা মাথা তুলে দাঁড়াতে দেব না।

তিনি আরো বলেন, বিগত ১৭ বছর তরুণ যুবকদের কাছে অস্ত্র তুলে দিয়েছিল। আমরা তাদের হাতে কলম ও ক্রেষ্ট তুলে দিয়েছি। অস্ত্রের জবাব আমরা কলম ও ক্রেষ্ট দিয়ে দিয়েছি।

ড. মাসুদ আরো বলেন, আমি ঢাকায় রাজনীতি করি কিন্তু বাউফলে বাউফলবাসীর রাজনীতি করি। জামায়াত ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির বাউফলে অসংখ্য যুবককে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও যখন কুরআন ক্লাস থেকেই গ্রেফতার করা হয় তখনও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে। ভবিষ্যতেও বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের দায়িত্ব জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির গ্রহণ করবে। কোন ধর্ষকের ভোট আমাদের প্রয়োজন নেই। আমরা কোন চাঁদাবাজদের সাথে আপোষ করবো না। কোন চাঁদাবাজ, দখলদারিত্ব, মাদক, অবৈধ অস্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করাই হচ্ছে আমাদের বড় বিজয়। এ বিজয়, এ লড়াই এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।