যশোর-৪ (বাঘারপাড়া-অভয়নগর ) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যাপক গোলাম রসুল বলেছেন, জনগণের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা, সৎ নেতৃত্ব ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনের জন্য দাঁড়িপাল্লা মার্কার বিজয় প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার( ১৪ আগস্ট) বিকেলে ধলগ্রাম ইউনিয়নে এক পথসভায় অংশ নিয়ে তিনি জনগণের প্রতি ন্যায়ের প্রতীক দাঁড়িপাল্লা মার্কায় ভোট দেয়ার আহবান জানান । ইউনিয়ন জামায়াতের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন সভাপতি মোঃ ওসমান গনি।
পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক গোলাম রসুল বলেছেন, জনগণের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা, সৎ নেতৃত্ব ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনের জন্য দাঁড়িপাল্লা মার্কার বিজয় প্রয়োজন। এ জন্য জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে তাদের সমস্যার কথা শুনতে হবে এবং ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থার সুফল তুলে ধরতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা ক্ষমতার জন্য নয়, মানুষের কল্যাণের জন্য রাজনীতি করি। শিক্ষা, কৃষক-শ্রমিকের অধিকার ও নৈতিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা আমাদের অঙ্গীকার।
তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, নির্বাচনী মাঠে ঐক্য ও শৃঙ্খলা বজায় রেখে ইতিবাচক প্রচার চালাতে হবে। ভোট কেবল সংখ্যা নয়, এটি মানুষের বিশ্বাস ও প্রত্যাশার প্রতিফলন।
অধ্যাপক গোলাম রসুল আরো বলেন, আমরা চাই এমন এক দেশ, যেখানে ন্যায়বিচার সবার জন্য সমান হবে, দুর্নীতি ও অন্যায়ের স্থান থাকবে না। দাঁড়িপাল্লা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাদের জয়ী করুন, আমরা ইনশাআল্লাহ প্রত্যাশা পূরণে কাজ করব।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, থানা সেক্রেটারি মোঃ আ. জব্বার, ধলগ্রাম ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী কামরুজ্জামান মিঠু ও উপজেলা যুব সেক্রেটারি মতিউর রহমান। বক্তারা অধ্যাপক গোলাম রসুলের দীর্ঘদিনের সামাজিক ও শিক্ষাক্ষেত্রের অবদান তুলে ধরে দাঁড়িপাল্লা মার্কার পক্ষে সমর্থন জানান।
পথসভা শেষে একটি মিছিল আগড়া বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। স্লোগানে মুখরিত মিছিল স্থানীয় জনতার দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং বাজারে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ হয়।
বক্তারা বলেন, বর্তমান সময়ে একজন সৎ, শিক্ষিত ও দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রয়োজন। স্থানীয় জনগণ অধ্যাপক গোলাম রসুলকে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা ও উন্নয়নের অগ্রদূত হিসেবে জানে। তাঁর নেতৃত্বে শান্তিপূর্ণ ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা সম্ভব বলে তারা বিশ্বাস করেন।
সভায় নারী-পুরুষের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি রাজনৈতিক অংশগ্রহণের ইতিবাচক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।