জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, ‘অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলন আমরা ব্যর্থ হতে দিতে চাই না। বিগত দিনে রাজপথে যেভাবে ছাত্রজনতাকে হত্যা করা হয়েছে; যারা হত্যা করেছে, খুনীদের এ সংস্কৃতি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত, বিগত দিনে যারা রাজনৈতিক পরিচয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে মানুষের পকেটের টাকায় নাগরিকদের ওপর গুলী চালিয়েছে, তাদের বিচার হওয়ার আগে বাংলাদেশে তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই। আমরা ঈদ উদযাপন করেছি, কিন্তু দেশের অসংখ্য পরিবারে ঈদের আনন্দ ছিল না। বিশেষ করে যারা এ বিপ্লবে শহীদ হয়েছেন। ওই মায়েদের, ওই পরিবারে কিন্তু ঈদের আনন্দ নেই। ঈদের নামাজের পর ছুটে গিয়েছি শহীদ কাউসার হোসেন বিজয়ের বাড়িতে। তার বাবাকে বললাম কী অবস্থা, কেমন আছেন? বললেন, সারারাত তারা কান্নাকাটি করেছেন। এভাবে অসংখ্য পরিবারের ঈদ আনন্দকে ফ্যাসিস্ট সরকার কেড়ে নিয়েছে।’ গত বুধবার (২ এপ্রিল) বিকালে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ১২ নং চরশাহী ইউনিয়নে জামায়াতের কর্মী সম্মেলন ও ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে রূপাচরা সফি উল্যা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠর প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘এই ডাকাতরাই দুর্নীতি করেছে। এ ডাকাতরাই মানুষের ওপর অবিচার করেছে। এই আওয়ামী লীগের ডাকাতরাই সেনা সদস্যদের হত্যা করেছে, আলেম-ওলামাকে বেইজ্জতি করেছে দেশপ্রেমিক নাগরিকদের হত্যা করেছে। বাংলার এই জমিনে আ’লীগের জুলুমতন্ত্রের বিচার হবেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই বাংলাদেশ শহীদ আবু সাঈদ, মুগ্ধ এবং তাদের উত্তরসূরী যারা জীবন দিয়েছেন; তারা এই অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল বলেই বাংলাদেশ নতুনভাবে স্বৈরাচার থেকে মুক্তি পেয়েছে। বাংলাদেশকে শেখ হাসিনা তার পৈতৃক সম্পত্তি বানিয়েছে।’

রেজাউল করিম বলেন, ‘যে যুবকরা গুলীবিদ্ধ হয়ে পঙ্গুত্ববরণ করেছে, তাদের ঈদের আনন্দ ছিল না। তাদের পরিবারে ঈদের আনন্দ নেই।’

ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘জীবনের সব ক্ষেত্রে একমাত্র আল্লাহর গোলামি এবং রসুলুল্লাহ (স.)-এর আদর্শ অনুসরণের মধ্যেই রয়েছে আর্ত-মানবতার ইহকালীন কল্যাণ এবং পরকালীন মুক্তি।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামী লক্ষ্মীপুর জেলা সেক্রেটারি ফারুক হোসাইন নুরনবী বলেন, জামায়াত নিষিদ্ধের তিন দিনের ব্যবধানে শেখ হাসিনা দিল্লিতে পালিয়ে গেছেন। শেখ হাসিনার বিচার একদিন বাংলাদেশে হবেই হবে ইনশাআল্লাহ। ১২ নং চরশাহী ইউনিয়ন আমীর আবু বকর ছিদ্দিকের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা নাছির উদ্দিন মাহমুদ, মাওলানা নাজমুল হাসান, অধ্যক্ষ আহম্মদ উল্লাহ নাসিম, এডভোকেট রেজাউল করিম সুমন প্রমুখ।