ভোলার রাজনৈতিক অঙ্গনে সৃষ্টি হয়েছে এক বিরল সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত। মতপার্থক্য ও আদর্শগত বিভেদ থাকলেও বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি ও বিজেপির নেতৃবৃন্দ পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সহযোগিতার মাধ্যমে রাজনীতিতে গড়ে তুলেছেন সহনশীলতার নতুন ধারা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাজনৈতিক অবস্থান ভিন্ন হলেও এসব দলের নেতারা সামাজিক যোগাযোগ, ব্যক্তিগত সম্পর্ক ও সহযোগিতার ক্ষেত্রে একে অপরের পাশে রয়েছেন। নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও রাজনৈতিক মতবিরোধের মধ্যেও তারা বজায় রেখেছেন মানবিকতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ। এ সম্পর্ককে অনেকেই বলছেন—“ভোলার রাজনীতিতে এক প্রশান্তির নিঃশ্বাস।”

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে সম্প্রীতি টিকে থাকবে কিনা—এমন প্রশ্নে নেতৃবৃন্দ বলেন,

“রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকা স্বাভাবিক। তবে আমরা চাই সহিংসতা মুক্ত পরিবেশে সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। ফ্যাসিবাদমুক্ত, সমৃদ্ধ ও কল্যাণকর বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে বাকস্বাধীনতা থাকবে, হিংসা-বিদ্বেষ থাকবে না।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ভোলার এই রাজনৈতিক সম্প্রীতি সারাদেশের জন্য হতে পারে এক ইতিবাচক দৃষ্টান্ত। তারা বলছেন, “ভোলার রাজনীতি প্রমাণ করছে—সহাবস্থান, শ্রদ্ধা ও মানবিক মূল্যবোধই পারে রাজনীতিকে সঠিক পথে রাখতে।”

ভোলার সাধারণ মানুষও এই সম্প্রীতিতে আশার আলো দেখছেন। তারা বিশ্বাস করেন, পারস্পরিক সম্মান ও সহনশীল রাজনীতি ভবিষ্যতে জেলাজুড়ে শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ ও উন্নয়নের নতুন অধ্যায় সূচনা করবে।