DailySangram-Logo-en-H90
ই-পেপার আজকের পত্রিকা

রাজনীতি

আমার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ তিন মানুষই নারী ---- তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আমার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ তিনজনই নারী। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

স্টাফ রিপোর্টার
Printed Edition
ta

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আমার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ তিনজনই নারী। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি লিখেছেন, আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিন মানুষ হলেন আমার মা, স্ত্রী এবং কন্যা তিনজন অসাধারণ নারী। আমি সবসময় তাদের জন্য প্রতিটি সম্ভাবনা, সাফল্য এবং সুখ নিশ্চিত করতে চেয়েছি। আমি নিশ্চিত যে, আপনারা যারা এটি পড়ছেন তাদের অনেকেই একই অনুভূতি লালন করেন।

এক-এগারোর পটপরিবর্তনের পর তৎকালীন সরকারের নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে সুচিকিৎসার জন্য লন্ডন যান তারেক রহমান। সঙ্গে নেন স্ত্রী জোবায়দা রহমান ও মেয়ে জায়মা রহমানকে।

দীর্ঘ দেড় যুগের বেশি সময় ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনা সরকারের নির্যাতনের শিকার হন তার মা বেগম খালেদা জিয়াও। সুচিকিৎসা না পেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন বিএনপি চেয়ারপারসন। চলতি বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনিও লন্ডনে যান এবং বর্তমানে ছেলের বাসায় আছেন।

পোস্টে তারেক রহমান লিখেছেন, বাংলাদেশের তরুণী এবং নারীরা চারপাশের মানুষের মাধ্যমে ক্ষমতায়িত এবং সমর্থন পাওয়ার অধিকার রাখেন। প্রতিটি নারীরই যেকোনো পুরুষের মতো একই মর্যাদা, সুরক্ষা এবং সুযোগ উপভোগ করা উচিত।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক নারী দিবসে আমি আবারও নিশ্চিত করছি যে, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে পরিচালিত পূর্ববর্তী বিএনপি সরকারের মতো আমরা একটি ন্যায়সংগত, সহনশীল এবং সম্মানজনক সমাজ তৈরির জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করব। যেখানে লিঙ্গ, বর্ণ বা ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্য থাকবে না।

নারী-পুরুষের সমান অধিকারের কথা উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লিখেছেন, আমাদের মেয়েদেরও আমাদের ছেলেদের মতো সমান সুযোগ থাকা উচিত। তাদের ঘর ছেড়ে বাইরে আসতে হবে, তারা যেন কোনো হয়রানি ছাড়াই ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে এবং কোনো ভয়ভীতি ছাড়াই নিজেদের মতপ্রকাশ করতে পারে।

তারেক রহমান পোস্টে উল্লেখ করেন, একটি নিরাপদ এবং সুরক্ষিত সমাজে নারীর সম্ভাবনাকে স্বীকৃতি দেওয়ার মধ্যেই বিএনপির নীতি প্রণয়ন গভীরভাবে প্রোথিত। আমাদের ‘পরিবার কার্ড’ কর্মসূচি, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য এসএমই ঋণ, তরুণীদের শিক্ষিত করার জন্য শিক্ষা এবং বৃত্তিমূলক প্রকল্পের মতো উদ্যোগ নারীর ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। আসুন আমরা একসঙ্গে চ্যাম্পিয়ন নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ এবং ব্যক্তিগত আকাক্সক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে যাই।

মাগুরায় ধর্ষিত শিশুর পাশে থাকার আশ্বাস তারেক রহমানের

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির মায়ের সাথে কথা বলেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শিশুটিকে দেখতে যান বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল। গতকাল শনিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা শিশুটির চিকিৎসা ও তার সঙ্গে হওয়া অপরাধের ন্যায়বিচার নিশ্চিতে পরিবারটির পাশে থাকার আশ্বাস দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

বৃহস্পতিবার দুপুরে মাগুরা শহরতলীর নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে আট বছরের শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয় বলে পরিবারের অভিযোগ।

শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শুক্রবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শিশুটির অবস্থা সংকটময় বলে তাকে লাইভ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।

গতকাল দুপুরে মুঠোফোনে শিশুটির মায়ের সঙ্গে কথা বলেন তারেক রহমান। ফোনালাপে তিনি শিশু সন্তানের শারীরিক অবস্থা জানতে চান। ফোনে শিশুটির মা তারেক রহমানকে বলেন, তার মেয়ের শরীর ভালো না। রক্ত দেওয়া হচ্ছে। এরপর তারেক রহমানকে বলতে শোনা যায়, আমাদের ওখানে যেসব নেতা-কর্মী আছেন, তাদের আমি বলেছি। এ ছাড়া মাগুরায় আমাদের যেসব নেতা-কর্মী আছেন, তাদের বলেছি, তারা (শিশুটির) পাশে থাকবেন, যাতে সে ন্যায়বিচার পায়। শিশুটির সাথে যারা অন্যায় করেছে, তারা যাতে শাস্তি পায়। এর জন্য আমাদের অবস্থান থেকে আমরা চেষ্টা করব, যতটুকু সম্ভব আমরা চেষ্টা করব। যাতে দেশের আইন অনুযায়ী আপনারা ন্যায়বিচার পান।

শিশুটির মাকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আমি বলেছি, শিশুটির চিকিৎসার জন্য যেসব ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, সেগুলো যাতে নেওয়া হয়। চিন্তা করবেন না, আমরা আছি, দেশের মানুষ আপনাদের পাশে আছে।

এ সময় শিশুটির মা কান্না বিজড়িত কন্ঠে বলেন, আপনি যদি দেখতেন, আমার ছোট মনিডার সাথে কি করা হইছে। আপনার কাছে আবেদন, আপনি দোয়া করবেন, যাতে আমি আমার মনিডার ফেরত পাই। আর যারা এই কাজ করেছে, তাদের যেন শাস্তি হয়।

বিএনপির প্রতিনিধি দল : এদিকে গতকাল বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে গুরুতর আহত শিশুটিকে দেখতে যান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরফত আলী সপু, রফিকুল ইসলাম, নিপুণ রায় চৌধুরী। পরে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের সেলিমা রহমান বলেন, শিশুটির ওপর যে অমানবিক নির্যাতনটা হয়েছে এটা মানব সভ্যতার সবচেয়ে বড় কলঙ্ক। আছিয়ার তার কি বেঁচে থাকার কোনো অধিকার নেই। আমার এখন প্রশ্ন তাহলে সরকার কী করছে? আপনারা কী করছেন একেক বার একেক ঘটনা ঘটছে। সব জাস্টিসের নামে এমন করে লুটপাট হচ্ছে, মানুষকে হেনস্তা করা হচ্ছে, আমরা কি সরকার নাই বলব। আমরা আশা করেছি এই সরকারের ওপর। অপরাধীদের কঠিন শাস্তি দাবি করেন তিনি।