বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম বলেছেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চায়। এর আগে আগামী নভেম্বর মাসে একটি গণভোট অনুষ্ঠিত হওয়া প্রয়োজন। তাই সরকারকে অবিলম্বে গণভোটের তারিখ ঘোষণা করতে হবে।
আজ শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) গাইবান্ধা-০৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা), গাইবান্ধা-০২ (গাইবান্ধা সদর) ও গাইবান্ধা-০১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের তিনটি নির্বাচনী দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, কিছু মহল নির্বাচনের বিষয়ে নানা রকম গুজব ছড়াচ্ছে, মনগড়া বক্তব্য দিয়ে বিভ্রান্তি ও সংশয় সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এসব গুজব থেকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় ৩৩টি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে গভীর আলোচনা ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রায় ৮৪টি বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। পরবর্তীতে ২৫টি রাজনৈতিক দল ‘জুলাই জাতীয় সনদ’-এ স্বাক্ষর করেছে। এখন বিভ্রান্তি না ছড়িয়ে জাতীয় ঐক্য, গণভোট এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনের স্বার্থে সবাইকে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে হবে।
জামায়াতের এ নেতা বলেন, প্রত্যেক দল তাদের নিজস্ব প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবে, এটি স্বাভাবিক বিষয়। আমরা আশা করি নির্বাচন কমিশন দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করবে। দেশ আমাদের সবার, তাই সবাইকে মিলেই এ দেশকে রক্ষা করতে হবে এবং দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই। ৫৪ বছর ধরে চলমান মানুষের ওপর মানুষের প্রভুত্ব ও কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবসান চাই। ক্ষমতায় গেলে জামায়াত জনগণের সেবক হিসেবেই কাজ করবে, ইনশাআল্লাহ। নৈতিক শক্তিকে দুর্বল করে এমন কাজে জামায়াত কখনও সম্পৃক্ত হবে না। জনগণের ভালোবাসা ও সমর্থনের মাধ্যমেই জামায়াত বিজয় অর্জন করবে ইনশাআল্লাহ।
সাঘাটা-ফুলছড়ি আসন পরিচালক মাওলানা ইব্রাহিম হোসেন, গাইবান্ধা সদর উপজেলা আসন পরিচালক মাওলানা নুরুল ইসলাম মন্ডল ও সুন্দরগঞ্জ আসন পরিচালক অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম মঞ্জুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশ তিনটিতে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও জেলা আমীর জনাব মো. আব্দুল করিম, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা নায়েবে আমীর, গাইবান্ধা-০৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের এম.পি প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব আব্দুল ওয়ারেছ, জেলা নায়েবে আমীর, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও গাইবান্ধা-০১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের এম.পি প্রার্থী অধ্যাপক মাজেদুর রহমান, জেলা সেক্রেটারি ও গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন পরিচালক মাওলানা জহুরুল হক সরকার।
আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা সহকারী সেক্রেটারি ও জেলা প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারি জনাব সৈয়দ রোকনুজ্জামান, জেলা সহকারী সেক্রেটারি মো. ফয়সাল কবির (রানা), শিবিরের জেলা সভাপতি জনাব ফেরদৌস সরকার রুম্মান, জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ও পেশাজীবি বিভাগের সভাপতি মুহাম্মদ খায়রুল আমীন, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য ও জেলা ওলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা সাইদুর রহমান, ফোরাম অব ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ারস্ এর জেলা সভাপতি জনাব আব্দুল আউয়াল, ফুলছড়ি উপজেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজুল ইসলাম আকন্দ, শিবিরের জেলা সেক্রেটারি মো. ইউসুফ আলী, সাঘাটা উপজেলা সেক্রেটারি আব্দুল গফুর, সদর উপজেলা জামায়াত সেক্রেটারি জনাব মো. আনোয়ারুল আলম, শহর জামায়াতের সেক্রেটারি মু. আবু হাসান আকন্দ, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি মো. সামিউল ইসলামসহ জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ।