জুলাই গণহত্যায় জড়িত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছে সাধারন ছাত্র-জনতার পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনগুলো। সেখানে জাতীয় নাগরিক পার্টি থেকে শুরু করে জামায়াতে ইসলামী, হেফাজতে ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন, অভ্যুত্থানে নিহত পরিবারের সদস্য, ইনকিলাব মঞ্চ, ইউপিবি, জুলাই ঐক্যসহ কয়েক হাজার মানুষ উপস্থিতি আছে। প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত কেউ শাহবাগ ছাড়বে না-শুক্রবার সন্ধ্যায় এমন ঘোষণা দেয় আন্দোলনকারী সব পক্ষ।

এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ জানিয়েছে ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য ব্যানারে এখন থেকে কার্য়ক্রম পরিচালিত হবে। তিনি জানান, ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য’ নামেই যত কর্মসূচি পালন করা হবে এখন থেকে।

শনিবার (১০ মে) দুপুরে তিনি তার ফেসবুক প্রোফাইলে এক স্ট্যাটাসে জানান এ কথা।

সেখানে তিনি বলেন, ‘প্রিয় দেশবাসী, আপনারা জানেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে গত দুই দিন ধরে ছাত্র-জনতা রাস্তায় অবস্থান করছে। ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এই অবস্থান কর্মসূচি চলছে। জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে দলমত নির্বিশেষে বাংলাদেশের সর্বস্তরের ছাত্র ও নাগরিকরা স্বৈরাচারের পতন ঘটাতে সক্ষম হলেও, এখনো পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ফ্যাসিস্ট ও সন্ত্রাসী দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারেনি।’

তিনি জানান, বিভিন্ন মহল থেকে আন্দোলন বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেটার জবাবে তিনি বলেন, ‘গত দুই দিনে এই আন্দোলনকে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। নানাভাবে আন্দোলনকে বিতর্কিত ও বিভক্ত করার প্রচেষ্টা চলছে। আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই, এই আন্দোলন কোনো একক দলের বা মতের নয়। বাংলাদেশের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতা, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে একত্রিত হয়েছে। সবার ঐক্যমতের ভিত্তিতে এখন থেকে আমাদের সব কর্মসূচি ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য’ ব্যানারে পালিত হবে।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘ঢাকাসহ সারাদেশের ছাত্র-জনতাকে আহ্বান জানানো হচ্ছে—আসুন, আমরা সবাই জুলাইয়ের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হই। আমাদের লক্ষ্য এক ও অভিন্ন। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত গণঅভ্যুত্থানপন্থী সকল মত ও দল একত্রে আন্দোলন চালিয়ে যাবে। জুলাই এখনো শেষ হয়ে যায়নি। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে গণঅভ্যুত্থানের শক্তিগুলো ঐক্যবদ্ধ থাকবে, ইনশাআল্লাহ। ইনকিলাব জিন্দাবাদ।’