বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী বলেছেন, স্বাধীনতার পর থেকেই রাজনীতিবিদ ও আমলারা দেশকে শোষণ করেছে। ২০০৮ সাল থেকে আওয়ামী লীগ দেশের শিক্ষা ও চিকিৎসা খাত পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে। সরকারি মেডিকেলে সিট নেই, আর বেসরকারি মেডিকেলে অর্থাভাবে গরিব মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছে না। দেশের সাধারণ গরিব মানুষ আজ চিকিৎসার জন্য হাহাকার করছে।

তিনি বলেন, ৩৬ জুলাই আমার দেশের ছাত্র জনতা গণবিপ্লবের মাধ্যমে দেশকে স্বৈরাচার মুক্ত করেছে। এখন দেশ গড়ার উপযুক্ত সময়। আসুন আমরা সকল দলাদলি, হানাহানি, মারামারি ভুলে গিয়ে আগামী প্রজন্মের জন্য বাংলাদেশকে একটি কল্যাণময় রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করি। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি গতকাল শুক্রবার বিকেলে সাতকানিয়ার আমিলাইশ ইউনিয়নে সামাজিক সংগঠন ইখওয়ানুল মুসলিমীনের উদ্যোগে একটি কমিউনিটি সেন্টার আয়োজিত কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা সভায় তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ হোসাইনের সভাপতিত্বে ও মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ও শাহাদাত হোসাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক জনাব মোহাম্মদ ইউনুচ। উদ্বোধক ছিলেন বোয়ালখালী সিরাজুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের প্রফেসর মোহাম্মদ ইব্রাহিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট দিবাকর মিত্র, জনতা ব্যাংকের সাবেক ডিজিএম জনাব শম্ভু দাশ, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি আব্দুল খালেক, কাঞ্চনা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা মোজাফফর আহমদ, চরতি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ডা. রেজাউল করিম, ইখওয়ানুল মুসলিমিনের প্রতিষ্ঠাতা নাসিরউদ্দিন, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মাওলানা আবুল হাশেম, সৈয়দ হোসেন, মাওলানা নুর আহমদ, মোহাম্মদ ইউনুচ, সেলিম উদ্দিন, আব্দুল আওয়াল, পরিচালনা পর্ষদ সদস্য আমিনুল হক, গিয়াস উদ্দিন, এনামুল হক সোহেল, মোস্তাক আহমদ, ছিদ্দিক হোসাইন, জিয়াবুল হক রুবেল, আবরার হোসাইন, ইমতিয়াজ উদ্দিন মারুফ, তাওহিদুল ইসলাম, আরিফুল ইসলাম, কামাল হোসেন, শহীদুল ইসলাম জাবেদ, রাহাত মাঈনু সহ আরও অনেকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।