দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমানকে শোকজ করেছে বিএনপি। রবিবার (২৫ আগস্ট) দলটির একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। কারণ দর্শানোর এই চিঠিতে সই করেন রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।

শোকজের চিঠিতে বলা হয়, ‘আপনি জুলাই-আগস্ট ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান নিয়ে ক্রমাগত কুরুচিপূর্ণ ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়ে আসছেন এবং আত্মদানকারী শহীদদের নিয়ে যে বক্তব্য দিচ্ছেন, তা সম্পূর্ণরূপে দলীয় আদর্শ ও গণঅভ্যুত্থানের চেতনার পরিপন্থি। মহিমান্বিত এই গণঅভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন নিয়ে আপনার বক্তব্য জনমনে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। আপনার বক্তব্য দলের সুনাম ক্ষুণ্ন করার সুপরিকল্পিত চক্রান্তের প্রয়াস বলে অনেকেই মনে করে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমি এখনও চিঠি পাইনি, তবে শুনতেছি চিঠি দেওয়া হবে। আমি হাতে পাইনি। চিঠি পাওয়ার পর বুঝতে পারবো কী করবো।’

দলীয় সূত্র জানায়, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফরকালে ফজলুর রহমানকে শোকজ করার বিষয়টি ভিন্ন বার্তা বহন করছে। বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিগত এক বছরে ফজলুর রহমানের বক্তব্য ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। যদিও এনসিপির নেতাদের বিরুদ্ধে তিনি বক্তব্য দেওয়ায় সমালোচনাও হচ্ছে বিভিন্ন মাধ্যমে।

দলের একটি নির্ভরযোগ্যসূত্র জানায়, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবরের পর থেকে বিএনপির অনেকেই যখন পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন, কারাগারে ছিলেন, তখন সক্রিয়ভাবে দলের অবস্থান সামনে তুলে ধরেন ফজলুর রহমান।

শোকজের বিষয়ে জানা গেছে, চিঠিতে সম্প্রতি বেসরকারি টেলিভিশনের একটি টকশোতে অংশ নিয়ে ‘৫ আগস্টের আন্দোলন পরিচালনায় সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির’ এমন বক্তব্যে শীর্ষনেতৃত্ব বিরক্ত হন। দলের একটি অংশের নেতারা শীর্ষ নেতৃত্বকে দিয়ে তাকে শোকজের বিষয়টি প্রাসঙ্গিক করেন।

চিঠিতে ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার যথাযথ কারণ জানিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটি লিখিত জবাব দলের নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তবে ফজলুর রহমান এ বিষয়ে এখনই মন্তব্য করতে নারাজ।

শোকজের কপিটি ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেছেন।