বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চল সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, আল্লাহর আইন এবং সৎ লোকের শাসন ছাড়া দেশ থেকে চাঁদাবাজ দূর হবে না। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টে যে ছাত্র-জনতার বিপ্লব অনুষ্ঠিত হলো সেখানে ছাত্রদের তিনটি শ্লোগান ছিল, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস, নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার এবং দিল্লি নয়, ঢাকার সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে।’ তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার রক্তের ঋণ পরিশোধ করতে হলে গঠনমূলক সংস্কার, ফ্যাসিবাদের দোসরদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার ও স্বচ্ছ-নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে খুলনা-৬ আসনের কয়রা উপজেলার আমাদি ইউনিয়নে গণসংযোগকালে তিনি এ সব কথা বলেন।

এ সময় তার সাথে ছিলেন কয়রা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মিজানুর রহমান, নায়েবে আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম, সেক্রেটারি মাওলানা শেখ সাইফুল্লাহ, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা সুজাউদ্দিন, আমাদী ইউনিয়ন আমীর মাওলানা সাজ্জাদুল ইসলাম, সেক্রেটারি মাওলানা শামসুদ্দিন আহমেদ, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মো. ওয়াহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মহাসিন রেজা, যুব বিভাগের সভাপতি মেহেদী হাসান রাসেল, সেক্রেটারি ইয়াসিন আরাফাত, কৃষ্ণ মন্ডল, প্রিন্সিপাল রাজীব বাচার, শংকর মন্ডল, মৃন্ময় মন্ডল, জগদীশ সরকার, রমেশ মন্ডল, বিশ্বজিৎ মজুমদার, অলকেশ কুমার, মনোজিৎ সরকারসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেন, বর্তমান সরকার ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফসল। তাই তাদেরকে জনগণের কাছে দেওয়া সকল প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে হবে। তিনি বলেন, দায়সারা গোছের কোন নির্বাচন জনগণ মানবে না বরং নির্বাচন হতে হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য। এ দাবি কোন ভাবেই পাশ কাটানোর সুযোগ নেই। আর প্রচলিত পদ্ধতির নির্বাচনে জনমতের পুরোপুরি প্রতিফলন হয় না। মূলত, জুলাই সনদ প্রণয়ন করে সাংবিধানিক ভিত্তি দিয়েই সে সনদের ভিত্তিতেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। এসব ক্ষেত্রে আইনী প্রতিবদ্ধকতা দূর করার জন্য রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারি বা প্রয়োজনে গণভোটের আয়োজন করতে হবে। তিনি নির্বাচন নিয়ে যেকোন ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান।