জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পর ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ৫৮৭টি মামলা দায়ের হয়েছে।

অপহরণ, হত্যাচেষ্টা, সহিংসতা, নাশকতা, দিকনির্দেশনা দেওয়া ও পরিকল্পনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে বেশিরভাগ মামলাতেই তাঁকে প্রধান আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া পাঁচটি মামলার মধ্যে একটি মামলায় সোমবার মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়া হয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা আরও ছয়টি মামলা রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

সব মিলিয়ে বিভিন্ন ধাপে মোট ৬৮৬ মামলার মুখোমুখি হতে হবে শেখ হাসিনাকে।

পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সারাদেশে দায়ের হওয়া মামলাগুলোর মধ্যে ৩২৪টি হত্যা মামলা।

শুধু ঢাকাতেই হত্যা ও হত্যাচেষ্টার সংখ্যা ৩২১, যা জাতীয় মোটের বড় একটি অংশ।

গত বছরের জুলাই–আগস্টে গণ-আন্দোলনের পর দেশব্যাপী সহিংসতার ঘটনায় আদালত ও থানায় মোট ১,৬০২টি মামলা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও নতুন মামলা যুক্ত হচ্ছে।

এ মামলাগুলোর মধ্যে ৫৯৯টি হত্যা এবং ১,০০৩টি অন্যান্য অভিযোগ, যেখানে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, হামলা, ভয় দেখানো ও অবৈধ দখলের অভিযোগ রয়েছে।

এসব মামলার ভেতরেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বর্তমানে তদন্তাধীন অবস্থায় রয়েছে ৩২৪টি হত্যা মামলা সহ মোট ৫৮০টি মামলা।

এ ছাড়া আদালত অবমাননার অভিযোগে গত ২ জুলাই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রথম মামলা দায়ের হয় গত বছর ১৩ আগস্ট মোহাম্মদপুর থানায় ব্যবসায়ী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায়।