স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ছাত্ররা দল গঠন করলে স্বাগত জানাই। সরকারে কিছু থাকবেন আবার কিছু লোক সরকারের সহায়তায় দল গঠন করবেন এটা হতে পারে না। সরকারের লোকজন সংঘাতময় কোন বক্তব্য দিবেন না। নিরপেক্ষ থেকে নির্বাচন দিতে হবে। আর নয়তো জনগণ মেনে নিবে না। গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার ১৩ নং সেক্টর খেলার মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আয়োজিত খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল ও দরিদ্রদের শীত এবং শাড়ি বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা এখন দম ছেড়ে নিঃশ্বাস নিতে পারতেছি হাসিনা পালানোর কারণে। দেশে এখন আতঙ্ক নেই। ১৮ কোটি জনগণের বুকে পাথরের মত বসে শাসন করেছে। হাসিনা আগেও ষড়যন্ত্র করেছে। দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে গিয়ে এখনো ভালো হয়নি। ভারতে আশ্রয়ে থেকে দেশ নিয়ে দুষ্টামি করছে। হাসিনা অনেক মা বাবার বুক খালি করেছে। এনিয়ে হাসিনার কোন অনুশোচনা করে নাই।
ন্যূনতম সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচন দিতে বর্তমান সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, পলাতক হাসিনা সরকারের রুগ্ন অর্থনীতির কারণে এখন বাজারদর বৃদ্ধি হয়েছে। দক্ষিণখানের গুমের শিকার মুন্নার মা বাবার কান্না দেখে আমি নিজেও অসুস্থ হয়ে পড়েছি। পলাতক হাসিনা দেশে আয়নাঘর সৃষ্টি করে গুম খুনের রামরাজত্ব কায়েম করেছিল। পলাতক হাসিনা সরকারের উত্তরা এলাকার এমপি হাবিব হাসান এবং খসরু নিরীহ মানুষের জমি বাড়িঘর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল করেছিল।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আফাজ উদ্দিনের সার্বিক সহযোগিতা ও সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন বিএনপি কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক, সদস্য সচিব মোস্তফা জামান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন দক্ষিণখান থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হেলাল উদ্দিন তালুকদার। অনুষ্ঠান শেষে দরিদ্রের মধ্যে শীতবস্ত্র ও শাড়ি বিতরণ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।