জাতীয় নাগরিক পার্টির এনসিপি’র মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টাকে ‘বিএনপির মুখপাত্র’ আখ্যায়িত করার পাশাপাশি সংস্কার সুপারিশ বাস্তবায়ন না হলে এই উপদেষ্টাদের পদত্যাগে বাধ্য করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

তিনি বলেন, “আমাদেরকে আসিফ নজরুল বলেছিলেন, ঘোষণাপত্র দেবেন। একবার মুলা দেখিয়েছিলেন ছাত্র-জনতাকে; ঘোষণাপত্র দেবেন বলেছিলেন, উনি বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। এবার যদি হেরফের হয় আসিফ নজরুল বাংলাদেশে থাকবেন কি না জানি না।”

বুধবার (২১ মে) আগাঁরগাওয়ে সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুরে ২টা পর্যন্ত বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করেছে এনসিপি। দলটি মঙ্গলবার জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকে নির্বাচন কমিশন ‍পুনর্গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে করার দাবি জানিয়ে আজকের এই কর্মসূচি দিয়েছিল।

সমাবেশে সমাপনী বক্তব্যে এনসিপি নেতা নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, “ইসি পুনর্গঠন না হলে বর্তমান ইসির অধীনে নির্বাচনে যাবে না এনসিপি।”

এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টাকে ‘বিএনপির মুখপাত্র’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন তিনি।

পাটোয়ারী বলেন, “সংস্কার সুপারিশ বাস্তবায়ন না হলে উপদেষ্টাদের মধ্যে যারা ‘বিএনপির মুখপাত্র’ তাদের পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, “বাংলাদেশে এডুকেশন ডুবিয়ে দেওয়ার জন্য ওয়াহিদউদ্দিন ভাই (উপদেষ্টা) কাজ করছেন, দেশে ফাইন্যান্সিয়াল সেক্টরকে ডুবিয়ে দেওয়ার জন্য সালেহউদ্দিন ভাই (উপদেষ্টা) কাজ করছেন। আইন মন্ত্রণালয় ডুবিয়ে দেওয়ার জন্য আসিফ নজরুল কাজ করছেন।”

এ মাঠে ‘কুসুম কুসুম খেলা’ চলবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, “এনসিপি নেতারা যতদিন আছি জাতীয় নির্বাচনের আগে অবশ্যই স্থানীয় নির্বাচন দিতে হবে। স্থানীয় নির্বাচনের আগে জাতীয় কোনো নির্বাচন হবে না।”

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমরা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চেয়েছিলাম, নিষিদ্ধ হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের নির্বাচন কমিশন ও সংবিধান নিষিদ্ধ হয়নি।”

উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ করেছেন অভিযোগ করে পাটোয়ারী বলেন, “(জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে) আমাদেরকে আসিফ নজরুল বলেছিলেন, ঘোষণাপত্র দেবেন। একবার মুলা দেখিয়েছিলেন ছাত্র-জনতাকে; ঘোষণাপত্র দেবেন বলেছিলেন, উনি বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। এবার যদি হেরফের হয় আসিফ নজরুল বাংলাদেশে থাকবেন কি না জানি না।”

জনগণের সাথে অনেক ‘বাটপারি’ হয়েছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, “জনগণের সাথে আপনি বেঈমানি করেছেন। এ বেঈমানি নিয়ে আপনি সরকারি অফিসে আসতে পারেন না। আমরা আপেক্ষা করছি, ঘোষণাপত্র হবে, ইসি পুনর্গঠন হবে, স্থানীয় নির্বাচন হবে, গণপরিষদ নির্বাচন হবে এবং সুন্দর বাংলাদেশ পাবো। এ প্রত্যাশায় বিক্ষোভ সমাপ্তি করছি।”