জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মূখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেছেন, এনসিপির মার্কা শাপলাই হবে। আমরা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি নির্বাচন কমিশন নিশ্চয়ই একটি নির্দিষ্ট পক্ষ বা শক্তির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আমাদেরকে শাপলা প্রতীক দিচ্ছে না,স্বেচ্ছাচারিতা করছে। যেহেতু শাপলা প্রতীক দিতে কোন আইনগত বাঁধা নেই, সেহেতু আমরা মনে করি অভ্যুত্থান পরিবর্তী বাংলাদেশে স্বাধীন এরকম একটি প্রতিষ্ঠান (ইসি) একটি রাজনৈতিক দলের স্বার্থে এই স্বেচ্ছাচারিতা করতে পার না। যদি তারা এটি করে তাহলে এই নির্বাচন কমিশনের দ্বারা বাংলাদেশে একটি স্বাধীন নির্বাচন হবে, নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমরা সেই আস্থা পাবো না। গত শুক্রবার রাতে ঠাকুরগাঁও শহরের জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্ষ হলরুমে আয়োজিত সাংগঠনিক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, জামায়াতের নেতৃত্বে সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে একটি জোট হতে যাচ্ছে। তারা পিআরসহ পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করছে। আমরা মনে করি বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে শুধুমাত্র উচ্চকক্ষেই পিআর প্রাসঙ্গিক, নিম্ন কক্ষে নয়। এই একটি বিষয় ব্যতীত আমরা তাদের সকল দাবিতে একমত এবং তা সমর্থন করি। জাতীয় পার্টি ভারতে প্রেসক্রিপসন নিয়ে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগকে ফ্যাসিস্ট হতে সহযোগিতা করেছে। তারা কথিত বিরোধী দল সেজে আওয়ামী লীগ সরকারকে বৈধতা দিয়েছে। সুতরাং জাতীয় পার্টিকেও রাজনৈতিক দল হিসাবে নিষিদ্ধ করতে হবে।
ছাত্রদল প্রসঙ্গে সারজিস বলেন, পঞ্চগড় জেলায় স্কুল পর্যায়ে ছাত্রদলের কমিটি দেওয়া হয়েছে। ৬ষ্ঠ থেকে ১০ শ্রেণি পর্যায়ে কমিটিকে ঘৃণ্য ভাবে প্রত্যাখান করছে এনসিপি। এমন রাজনীতির মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্ম কলুষিত শিক্ষা ব্যবস্থায় বেড়ে ওঠবে। যা আমরা কোন সমর্থন করি না।
সারজিস আলম বলেন, আমাদের প্রথম কাজ সাংগঠনিক বিস্তৃতি। দেশের প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে আমরা কমিটি করছি। সে কারণে সব জায়গায় আমরা সাংগঠনিক সভা করছি। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে জেলা আহবায়ক কমিটি গঠন করা হবে। নবেম্বরের মধ্যে সব কমিটি গঠন শেষ করা হবে।
এসময় এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক গোলাম মোর্তুজা সেলিম, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার প্রধান সম্বনয়কারী মোসলেম উদ্দীন, রাণীশংকৈল উপজেলার প্রধান সমন্বয়কারী শাহাজান বিশ্বাসসহ নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।