ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) থেকে মো. মামুন হোসাইন : ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সক্রিয় হয়েছেন পিরোজপুর ১ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। এর মধ্যে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে লড়তে যাচ্ছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সাবেক সংসদ সদস্য আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে আলহাজ্ব মাসুদ সাঈদী। সংশ্লিষ্টরা জানান, এলাকায় সাঈদী পরিবারের ভালো ইমেজের কারণে মাসুদ সাঈদীকে শক্ত প্রার্থী হিসেবে দেখছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এদিকে নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সীমা ধরে মাঠে সক্রিয় বিএনপি প্রার্থীরা। এর মধ্যে একটি আসনেই প্রার্থী হতে চান ৪ জন। তবে সদ্যপ্রতিষ্ঠিত এনসিপি বা অন্য কোনো দলের এখন পর্যন্ত সাড়া নেই। ফলে পিরোজপুর ১ আসনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে একসময়ের জোটসঙ্গী বিএনপি ও জামায়াত প্রার্থীদের মধ্যে। নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট ও সাধারণ ভোটাররা বলছেন, দেশের মানুষ গত ১৬ বছরে কোনো নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি। এবার তারা নিজের ভোটটি দিতে পারবেন বলে আগ্রহভরে প্রত্যাশা করছেন। এ কারণে পিরোজপুরের সবখানেই এখন আলাপের অন্যতম প্রসঙ্গ নির্বাচন কবে হবে আর প্রার্থীই-বা হচ্ছেন কারা।

পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর ও ইন্দুরকানী (জিয়ানগর) উপজেলা নিয়ে পিরোজপুর-১ আসন। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে অনুষ্ঠিত ১২টি নির্বাচনের মধ্যে ৭৩-এর প্রথম নির্বাচনে এ আসনে এনায়েত হোসেন খান এবং ৭৯ সালে আওয়ামী লীগ থেকে শুধাংশু শেখর হালদার নির্বাচিত হন। ৮৬-এর নির্বাচনে জয়ী হন সাবেক মন্ত্রী জাতীয় পার্টির (জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার। ৯১-এ ফের নির্বাচিত হন শুধাংশু শেখর হালদার।

১৯৯৬ সালে সারাদেশে জামায়াতে ইসলামীর মাত্র তিন জন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে পিরোজপুর-১ আসন থেকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রর্থী আল্লামা সাঈদী ৫৫,৭১৭ ভোট যা উপস্থিত ভোটের ৩৭.০% পেয়ে ২৮০ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দী আওয়ামী লীগে প্রার্থী সুধাংশু শেখর হালদার পেয়েছিলেন ৫৫,৪৩৭ ভোট। নির্বাচনে জয়ী হয়ে আল্লামা সাঈদী তার নির্বাচনি এলাকায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায়সহ ব্যাপকভাবে কাজ করায় বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। ফলে ২০০১ সালে তিনি ১,১০,১০৮ ভোট যা উপস্থিত ভোটের ৫৭.২% পেয়ে ৩৩,৩৭৭ ভোটের বিশাল ব্যবধানে পুনরায় নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী আওয়ামী লীগের প্রার্থী সুধাংশু শেখর হালদার ৭৬,৭৩১ ভোট পেয়েছিলেন।

এই আসনে মোট ভোটারের প্রায় এক-চতুর্থাংশ হিন্দু ভোটার থাকার পরও এখান থেকে নির্বাচন করে বিজয়ী হয়েছেন ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীর নেতা আল্লামা সাঈদী। তবে এবারের নির্বাচনে প্রার্থীদের দলীয় ও ব্যক্তি ইমেজ কাজে লাগিয়ে এবং ভোটারদের মনে ঢুকে নির্বাচিত হতে হবে বলে ধারণা অভিজ্ঞ মহলের। আসনটিতে জামায়াতের প্রার্থী সাবেক এমপি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে ইন্দুরকানী (জিয়ানগর) উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী। বহু আগে থেকেই তিনি এ আসনে গণসংযোগ করছেন। মাসুদ সাঈদী জানান, পিরোজপুরকে একটি বাসযোগ্য জেলা হিসেবে গড়তে চান, যা ছিল তার বাবার স্বপ্ন। তিনি এমন প্রান্তিক লেভেলে উন্নয়ন করতে চান, যেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।

এ বিষয়ে মাসুদ সাঈদী বলেন, ‘আমাদের সংগঠন, আমাদের পরিবার দুর্নীতিমুক্ত। দুর্নীতিমুক্ত থেকেই পিরোজপুরের উন্নয়ন করতে চাই।’

এ আসনে এবার বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী দলটির জেলা আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন। তিনি ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর থেকেই নির্বাচনি মাঠে সরব। ২০০৮ ও ২০১৮ সালে তিনি মনোনয়ন প্রত্যাশা করলেও জোটবদ্ধভাবে বিএনপি নির্বাচন করায় জোটের স্বার্থে সরে দাঁড়ান। তিনি আশা করছেন, এবার তিনিই হবেন এ আসনে বিএনপির প্রার্থী। তা সত্ত্বেও দল যে সিদ্ধান্ত নেবে, দেশ ও দলের স্বার্থে তা মেনে নেবেন বলে জানান তিনি।

আসনটিতে প্রার্থী হতে চান নাজিরপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম খান। ২০১৫ সালের উপজেলা নির্বাচনে তিনি কারান্তরীণ থেকে নির্বাচিত হন। নজরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী দুঃশাসনামলে যারপরনাই নির্যাতনের শিকার হয়েছি। এ কারণে ত্যাগী হিসেবে মনোনয়ন চাইছি।

এ আসনে আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী পিরোজপুর জেলা বিএনপির সদস্য শিক্ষানুরাগী এম আনোয়ারুল ইসলাম পলাশ। ৫ আগস্টের পর থেকে বিভিন্ন সময় পোস্টারিং করে তিনি ভোটারদের তার প্রত্যাশার কথা জানান ও গণসংযোগ করেন।

এ ছাড়া পতিত আওয়ামী সরকারবিরোধী আন্দোলনে বেশ কয়েকটি মামলার আসামি ও জেলা মহিলা দলের সভাপতি এলিজা জামানও এই আসন থেকে মনোনয়ন চাইবেন বলে শোনা যাচ্ছে।

পিরোজপুর-০১ আসনে সবচেয়ে আলোচিত ও জনপ্রিয় নাম এখন মাসুদ সাঈদী। মাঠে-ময়দানে তৃণমূলে মাসুদ সাঈদীর সক্রিয় উপস্থিতি এবং পারিবারিক জনপ্রিয়তায় নির্বাচনী হিসাবনিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান তৈরি করেছেন তিনি। ২০১৪ সালের মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত জিয়ানগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মাসুদ সাঈদী ২১ হাজার ৭৭টি ভোট পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে ছিলেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল খালেক গাজী পেয়েছিলেন মাত্র ৬ হাজার ৬১৫ ভোট। এ নির্বাচনের মধ্য দিয়েই রাজনৈতিক ভাবে আত্মপ্রকাশ ঘটে সাঈদীপুত্র মাসুদ সাঈদীর। তারপর থেকেই তার আচরণ-ব্যবহার, উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড, জনগনের সকল প্রয়োজনে পাশে থাকা, বিশেষ করে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগের সময় অসহায় দুঃস্থ মানুষের পাশে থাকাসহ নানাবিধ কর্মকান্ডের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের হৃদয়ের গভীরে একটি বিশেষ স্থান করে নেন জামায়াতের এই নেতা।

আল্লামা সাঈদীর জনপ্রিয়তার ধারাবাহিকতায় মাসুদ সাঈদীও এলাকায় নিজস্ব রাজনৈতিক ও সামাজিক বলয় গড়ে তুলেছেন। নিষিদ্ধ ঘোষিত ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগের আমলে জিয়ানগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় ফ্যাসিষ্টদের সকল বাঁধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে তিনি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন। বিভিন্ন গ্রামে-গঞ্জের কাঁচা রাস্তা ইট সোলিং করণ, কালভার্ট নির্মান, স্কুল-মাদরাসার নতুন ভবন নির্মান ও সংস্কার, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপনের মাধ্যমে উপজেলাবাসীর জন্য সুপেয় ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করার মাধ্যমে মাসুদ সাঈদী তার নেতৃত্বকে অপ্রতিদ্বন্ধী করেছেন। আধুনিক পিরোজপুর বিনির্মানে আল্লামা সাঈদীর রয়েছে বিশেষ অবদান। যার ফলে সাঈদীপুত্র মাসুদ সাঈদীর প্রতি নারী-পুরুষ, ধর্ম-বর্ণ, শ্রেণী-পেশা নির্বিশেষে সকলের রয়েছে বিশেষ আকর্ষন। তাছাড়া মাসুদ সাঈদীর ব্যাপারে তরুন প্রজন্মের আগ্রহের কোন শেষ নেই।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সনাতন ধর্মাবলম্বী মুক্তিযোদ্ধা জানান, ‘২০২৪ সালের ৫ আগষ্টের পরে উদ্ভুত রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা নিয়ন্ত্রনের জন্য মাসুদ সাঈদী নিজে এলাকায় ঘুরে ঘুরে মাইকিং করে জনসাধারণকে শান্ত করেন। প্রশাসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। এমনকি গত দুর্গাপূজায় স্থানীয় জামায়াতের নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন পূজামন্ডপ পরিদর্শন করেন এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন। যা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।’

তিনি বলেন, ‘মাসুদ সাঈদীর সবচেয়ে বড় গুন হলো নিঃস্বার্থ জনসেবা, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে গরীব দুঃখীর সুখে দুঃখে পাশে থাকা ও এলাকার উন্নয়নে পরিকল্পনা মাফিক কাজ করা। আর এ কারণেই সনাতন ধর্মের প্রায় সকল ভাই বোনেরা মাসুদ সাঈদীকে নির্বাচিত করার জন্য কাজ করছে। তার পিতা আল্লামা সাঈদীর সময় কোন হিন্দু নির্যাতিত হয় নাই বরং আমরা সকলে তার দ্বারা উপকৃত হয়েছি। এবার সেই ঋণ পরিশোধ করবো, আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়বো।’

সরেজমিনে পিরোজপুর-০১ আসন ঘুরে দেখা যায়, ইতোমধ্যেই জামায়াতে ইসলামীর ব্যানারে বিভিন্ন রাজনৈতিক সমাবেশ, সুধী সমাবেশ বা মতবিনিময় সভার মাধ্যমে সর্বত্র ব্যাপক জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন মাসুদ সাঈদী। ওয়ার্ড পর্যায় থেকে শুরু করে থানা ও জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক কার্যক্রমকে তরান্বিত করতে নানা ধরণের সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। যা আগামী নির্বাচনে মাসুদ সাঈদীর জন্য ব্যাপক ভূমিকা পালন করবে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা।

ইন্দুরকানী (জিয়ানগর) উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মোঃ তৌহিদুর রহমান রাতুল বলেন, ‘আল্লামা সাঈদীর জনপ্রিয়তার ধারাবাহিকতায় মাসুদ সাঈদীও পিরোজপুরে তুমুল জনপ্রিয় ব্যাক্তি। আওয়ামীলীগের শাসনামলেও জনপ্রিয়তা ও যোগ্যতার বলে তিনি জিয়ানগর উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন বিপুল ভোটের ব্যবধানে। উপজেলা চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় তিনি তার সকল কথা ও কাজে সততা ও যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছেন, পিরোজপুরবাসী এবার এর মূল্যায়ন করবে ইনশাআল্লাহ।’

ইন্দুরকানী (জিয়ানগর) উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওঃ মোঃ আলী হোসেন জানান, ‘আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা সকল ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। কেন্দ্র ও গ্রাম কমিটি গঠন করা হচ্ছে। পিরোজপুর-১ আসন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আসন হওয়ায় এবং সততা ও যোগ্যতার কারনে তারই পুত্র মাসুদ সাঈদীর পিরোজপুরে ব্যাপক জনপ্রিয়। আগামী সংসদ নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা মার্কায় মাসুদ সাঈদীরই বিজয় হবে ইনশাআল্লাহ।’

জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেন, “পিরোজপুর ১ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী আল্লাহর ইচ্ছায় জনগণের ভালোবাসায় শতভাগ বিজয়ী হব। আমাদের এই সংগঠনটি সবচেয়ে বেশি মজলুম। বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার আমাদের সংগঠনের উপর এমন কোন জুলুম নির্যাতন করেনি যেটা বাদ রয়েছে। কিন্তু শত জুলুমের মধ্যেও আমরা সাধারণ মানুষের পাশে ছিলাম এখনো আছি। এছাড়াও আওয়ামী সরকার শহীদ আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে দীর্ঘ ১৩ টি বছর কারাভ্যন্তরে বিনা চিকিৎসায় এবং সর্বশেষ ইনজেকশন পুশ করে হত্যা করেছে। তিনি যে নির্দোষ ছিলেন সেটা প্রমাণ হবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাসুদ সাঈদী বিজয়ের মধ্য দিয়ে এবং মাসুদ সাঈদী জিয়ানগর উপজেলার সফল চেয়ারম্যান ছিলেন বিগত আওয়ামী সরকার তার বিরুদ্ধে কোন দুর্নীতি স্বজনপ্রীতি অভিযোগ আনতে পারেনি যা ইতোমধ্যেই পিরোজপুরের এক আসনের সকল জনগণের মাঝে স্পষ্ট হয়েছে। সকল শ্রেণীর মুখে মুখে একটি নাম মাসুদ সাঈদী। কারন ১ আসন জামায়াতে ইসলামীর ঘাঁটি বলে প্রমাণিত কারণ ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত পরপর দুইবার দাঁড়িপাল্লার প্রার্থী বিজয় হয়েছিল এমনকি ২০০৮ সালের নির্বাচনে আমাদের দাঁড়িপাল্লার বিজয় ছিল কিন্তু ষড়যন্ত্র করে আমাদেরকে পরাজিত করা হয়েছেল। পিরোজপুরের অবকাঠামো উন্নয়নের চিত্র এখনো আমাদের সময়ের তৈরি করা। পিরোজপুরের মানুষ ইসলাম প্রিয় তারা ইসলামকে ভালবাসে তাই আমরা আশাবাদী আগামী জাতীয় নির্বাচনে পিরোজপুর ১ আসন থেকে মাসুদ সাঈদী বিজয়ের মালা পড়বে, ইনশাআল্লাহ।”