অবিলম্বে সংস্কার ও গণহত্যার বিচার করতে হবে। জুডিশিয়াল কিলিং এর মাধ্যমে আমাদের শীর্ষ নেতাদের হত্যা করা হয়েছে, এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তিবর্গকে গ্রেফতার করে অনতিবিলম্বে বিচার করতে হবে, এ কথা বলেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান। তিনি গতকাল পাবনা জেলা জামায়াতের উদ্যোগের দারুল আমান ট্রাস্ট ক্যাম্পাসে আয়োজিত ষাণ¥াসিক রোকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে এ কথা বলেন।
পাবনা জেলা জামাতের আমীর ও পাবনা -৪ (ঈশ্বরদী- আটঘরিয়া) আসনে জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল এর সভাপতিত্বে সেক্রেটারি অধ্যাপক আব্দুল গাফফার খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বগুড়া অঞ্চলের টিম সদস্য মাওলানা আব্দুর রহিম ও অধ্যাপক নজরুল ইসলাম। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পাবনা জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর ও জামায়াত মনোনীত পাবনা-৫ (জেলা সদর) আসনের এমপি প্রার্থী প্রিন্সিপাল ইকবাল হুসাইন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও জামায়াত মনোনীত পাবনা-১ ( সাঁথিয়া- বেড়ার আংশিক) আসনে এমপি প্রার্থী ডক্টর ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান মোমেন, জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ও জামায়াত মনোনীত পাবনা-৩ (চাটমোহর- ভাঙ্গুড়া- ফরিদপুর) আসনে এমপি প্রার্থী অধ্যাপক আলী আছগর, সুজানগর উপজেলা জামায়াতের আমীর ও পাবনা-২ (সুজানগর -বেড়া আংশিক) আসনে জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী অধ্যাপক কে এম হেসাব উদ্দিন।
সম্মেলনে ষাণ¥াসিক রিপোর্ট পেশ করেন জেলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যাপক এ এস এম আব্দুল্লাহ, বাইতুলমাল রিপোর্ট পেশ করেন অধ্যাপক আব্দুল মোমেন। ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেন অনির্বাণ শিল্প গোষ্ঠী। প্রধান অতিথির রুকনদের উদ্দেশ্যে বলেন, কোন অনিয়মে যুক্ত থাকা যাবে না। অনিয়মে যুক্ত থাকার প্রমাণ পেলে প্রয়োজনীয় সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রধান অতিথি বলেন, আগামী নির্বাচন হবে আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং নির্বাচন, নির্বাচনে শারীরিক, মানসিক পরিশ্রম এবং ব্যাপক সময় কাজ করে এগিয়ে যেতে হবে। নির্বাচনে আর্থিক কুরবানীর ব্যাপক প্রয়োজন হবে এজন্য আগে থেকে আমাদের সতর্ক হতে হবে।
রফিকুল ইসলাম খান বলেন, জামায়াতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে, এ ষড়যন্ত্রকে রুখে আগামী নির্বাচনে আমাদের বিজয় আনতে হবে। তিনি বলেন, আমরা কাউকে ভয় করি না, ভয় দেখিয়ে কোন লাভ নেই, আল্লাহ আমাদের সাথেই আছেন, বিজয় আমাদের হবেই ইনশাল্লাহ।
বিশেষ অতিথি আব্দুর রহিম বলেন, দেশ গঠনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থীদের নির্বাচিত করলে সমৃদ্ধ বৈষম্যহীন দেশ গঠিত হবে, ফলে সমাজে অন্যায় অবিচার থাকবে না। অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, রুকনদের অধিক সচেতন হতে হবে এবং নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে মনোযোগী হতে হবে।
সভাপতির বক্তৃতায় জেলা আমীর অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল বলেন, কুরআন সুন্নাহ অনুযায়ী নিজের এবং পরিবারের জীবনযাপন করতে হবে, একে অপরের অধিকার সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। অন্যের হক হরণ করা যাবে না। রুকনদের সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করে নিজের মান ও সাংগঠনিক মান বৃদ্ধি করতে হবে।
প্রিন্সিপাল ইকবাল হোসেন বলেন, বিগত সময়ে সরকার দুর্নীতিতে সেরা ছিল, বেগম পাড়ায় বাড়ি করতে দ্বিধাবোধ করেনি। জামায়াত রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে দুর্নীতিমুক্ত, বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে ভূমিকা পালন করবে। ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান মোমেন বলেন, ব্যক্তিগত ছোটখাটো মতপার্থক্য ভুলে আল্লাহর উপর ভরসা করে ঐক্যবদ্ধভাবে ধৈর্য সহকারে কাজ করলে আমাদের বিজয় আসবে ইনশাল্লাহ।
অধ্যাপক কেএম হেসাব উদ্দিন বলেন, সময় এসেছে ইসলামী আন্দোলনকে বেগবান করার, এ সময়ে আমাদের পাবনা জেলাকে ইসলামী আন্দোলনের দুর্গতে পরিণত করতে হবে। অধ্যাপক আলী আজগর বলেন, বর্তমান সময়ে আমাদের জন্য একটা উপযুক্ত সময়, এ সময়কে কাজে লাগানোর সুযোগ এসেছে, সময়ের সদ্যব্যবহার করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।