বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামির কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য জননেতা ড. এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ বলেছেন ইসলাম পৃথিবীতে নারীদের সম্মান ও অধিকার নিশ্চিত করেছে । নারী পুরুষের সৌন্দর্য প্রকাশের সীমা রেখা নির্ধারণ করে দিয়েছে। সুতরাং যার যে দায়িত্ব সেই দায়িত্বশীলতার সীমাবদ্ধতা থেকে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে প্রত্যেক নারী নিশ্চিতভাবে তার অধিকার ভোগ করবে।
মঙ্গলবার মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়ন মহিলা জামায়াতের উদ্যোগে মহিলা জামায়াতের নেত্রী শিরিন ফারজানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত মন্তব্য করেছেন।
ড. হামিদুর রহমান আযাদ আরো বলেন, রাসুল ( সঃ) এর সময় যুদ্ধের ময়দানে পুরুষদের পাশাপাশি মহিলা সাহাবীরা সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণ করেছেন। তিনি বলেন মহিলা সাহাবী হযরত নুসাইবা ( রাঃ) যুদ্ধের ময়দানে যেভাবে সক্রিয় ভুমিকা পালন করেছেন। হযরত নুসাইবা ( রাঃ) -এর উত্তরসুরী হিসেবে ইসলামের অগ্রগতি ও অগ্রযাত্রায় আমাদের মা এবং বোনদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার আহবান জানান।
হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, নারিদের প্রাপ্য অধিকার খর্ব করে বর্তমান নারী অধিকার সংস্কার কমিশন যে রিপোর্ট পেশ করেছে তা আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছি। নারীদের সম্মান ও তাদের প্রাপ্য অধিকার একমাত্র ইসলামই নিশ্চিত করেছে। তিনি বলেন, আজকে যারা নারীবাদি হিসেবে নারীদের অধিকার আদায়ে রাজপথে আন্দোলন করছে তারাই নারীদের অধিকার ধুলোর সাথে মিশিয়ে দিয়েছে।
ড. আযাদ আরো বলেন, আমাদের উপর নামাজ, রোজা, হজ্ব, যাকাত যেভাবে ফরজ করা হয়েছে ঠিক সেভাবেই দ্বীন প্রতিষ্ঠা করাও ফরজ। এই বিধান পুরুষের উপর যেমন ফরজ তেমনি মহিলাদের উপরও ফরজ। তাই নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামি যে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তা বাস্তবায়ন হলে নারীরা তাদের পুর্নাঙ্গ অধিকার ভোগ করবে ইনশাআল্লাহ। তিনি জুলাই বিপ্লবের শক্তি বুকে ধারণ করে ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত, চাঁদাবাজ ও বৈষম্যহীন শোষণ মুক্ত নতুন বাংলাদেশ বিনির্মানে নারী-পুরুষ সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামি কক্সবাজার জেলা এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যাপক আবু তাহের চৌধুরী, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মোঃ জাকির হোসাইন, উপজেলা দক্ষিণের আমির মাষ্টার শামিম ইকবাল, হোয়ানক ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাওলানা আব্দুল মালেক, সেক্রেটারি সৈয়দ কবির, ওলামা বিভাগের নেতা মাওলানা ইছহাক, শ্রমিক নেতা মুমিনুল হক কোখন, ফরিদুল আলম সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।