স্টাফ রিপোর্টার: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, রমযান বিশ্বের কোটি কোটি মুসলমানের পরিশুদ্ধতার মাস। ইবাদত ও সংযমের মাস। বিশ্বের কোটি কোটি মুসলমান সকল পাপ পংকিলতা থেকে শুদ্ধতা অর্জন করেন এই মাসে। গতকাল শুক্রবার সংবাদ মাধ্যমে প্রেরিত এক শুভেচ্ছা বার্তায় চরমোনাই পীর বলেন, সামগ্রিক শুদ্ধতার এই মাসে বাংলাদেশের রাজনীতিও শুদ্ধতা অর্জন করুক এই প্রত্যাশা করছি। কারণ বাংলাদেশের প্রধানতম সমস্যা হলো রাজনৈতিক চরিত্র। পারস্পরিক হানাহানি এতটাই প্রকট যে সেনাপ্রধান এটা স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। ফলে রাজনৈতিক শুদ্ধতা অর্জন এখন স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আসন্ন রমযান রাজনৈতিক শুদ্ধতার একটি চমৎকার উপলক্ষ হয়ে উঠুক এই প্রত্যাশা করছি। তিনি বলেন, রমযান মাস তাকওয়া অর্জনের মাস, নাজাতের মাস, এ মাস সহানুভূতি ও সহমর্মিতার মাস।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর আরও বলেন, রমযানের পবিত্রতা রক্ষা করতেই হবে। অশ্লীলতা মাদক নির্মূল করতে হবে। ইন্টারনেটে অশ্লীল সাইটগুলো স্থায়ীভাবে ব্লক করতে হবে। তার সূচনা এই রমযান থেকেই হোক। রোজাদারদের সুবিধার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। যানজট নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। দিনের বেলায় হোটেল রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখতে হবে।

মুফতী রেজাউল করীম বলেন, রমযান মাসে ট্রাফিক জ্যাম নিরসনে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস সরবরাহ নির্বিঘ্ন করতে হবে। একই সাথে সুদ, ঘুষ, দুর্নীতি, মিথ্যা, পাপাচার, অশ্লীলতা, বেহায়াপনা, হত্যা, ধর্ষণ, জুলুম, নির্যাতনের অবসান ঘটাতে হবে। চরমোনাই পীর বলেন, মহাগ্রন্থ আল-কুরআন নাজিলের মাস মাহে রমাযানে আমাদেরকে কুরআন চর্চায় আত্মনিয়োগ করতে হবে। ব্যক্তি, সমাজ তথা রাষ্ট্রীয় জীবনকে আল-কুরআনের আলোকে সুসজ্জিত করার নতুন শপথে উজ্জীবীত হবে হবে। তিনি বলেন, এ মাস নৈতিক ও আধ্যাত্মিক প্রশিক্ষণের মাস। পরিপূর্ণ হকসহকারে মাসব্যাপী রোজা পালনের মাধ্যমে আমাদের আত্মিক পরিশুদ্ধি অর্জনের পাশাপাশি সামাজিক সহমর্মিতা ও আত্মত্যাগের শিক্ষায় সমৃদ্ধ হতে হবে। সিয়াম সাধনার সাথে সাথে সালাত, সাহরি, ইফতার, তারাবিহ, তিলাওয়াত, তাওবাহ-ইসতিগফারে আত্মনিয়োগ করতে হবে। দেশ, জাতি, মুসলিম উম্মাহ ও সমগ্রবিশ্ববাসীর মুক্তির জন্যে কায়মনো বাক্যে আল্লাহর সাহায্য কামনা করতে হবে।