গণঅভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠজন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। গেল বছরের ৫ আগস্ট হাসিনার পালানোর সাথে সাথে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় মির্জা আজম; কিন্তু তার অনুসারি যারা পালাতে পারেনি বর্তমানের তাদের অনেকে মিশে যাচ্ছে বিভিন্ন দলের সাথে। বিশেষ করে বিএনপির একশ্রেনীর নেতার আশ্রয়ে এরা দলে ভিড়ে যাচ্ছে। বিনিময়ে নেয়া হচ্ছে আর্থিক সুবিধা। এমন অভিযোগ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে দিয়েছে মাঠের নেতারা।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমের ডোনার হিসেবে পরিচিত নুর নবী । মির্জা আজমের চেম্বারে সপ্তাহে একাধিকবার হাজিরা দিয়েছেন এ নেতা। ব্যবসা পেতে কোটি টাকা দিয়েছেন মির্জা আজম গংদের। ঢাকায় সিএন্ডএফ ব্যবসা করা এ নুর নবী একলাফে মেলান্দহ উপজেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক পদে বসিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল।

তাদের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, শত কোটি টাকার মালিক নুর নবী মন্ডল গত ১৬ বছরই মির্জা আজমের ডোনারের ভূমিকা পালন করেছেন। যে কারণে তার বিরুদ্ধে মামলা, কারাবাস তো দূরের কথা পুলিশের কাছে তিনি অপরিচিত।

এ প্রসঙ্গে নুর নবী বলেন, ভাই আমি ১৯৯৮ সাল থেকেই ঢাকায় চাকরি করছি, এরপর সিএন্ডএফের ব্যবসা করছি। ২০০৯ সালে আমাকে মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল ভাই থানা কমিটির সদস্য করেছেন। ২০১৪ সালে থানা বিএনপির প্রবাসী ও কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক, ২০২২ সালে আহ্বায়ক কমিটির সদস্য করেছেন। ২০২৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি আমাকে মৌখিক প্রস্তাবে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে। পদ নিতে টাকা লাগেনি।

জানা গেছে, বহিষ্কৃত ও অব্যাহতি প্রাপ্ত দুই নেতা মেলান্দহ উপজেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটিতে এখন পদধারী নেতা। উপজেলার ফুলকোচা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মতলুব হোসেন বাবু আওয়ামী লীগে যোগদান করেছিলেন। তাকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। উপজেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটিতে তাকে ৪নং সহ সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, ঝাউগড়া ইউপি সভাপতি আব্দুল আলিম সরকারের ভাই আব্দুল হালিম সরকার। মির্জা আজমের বিভিন্ন সভা-সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। তিনিই এখন ইউনিয়ন বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক।

অভিযোগের বিষয় বিএনপির সহ-জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল সাংবাদিকদের বলেন, আমাকে ঘিরে যে অভিযোগগুলো উঠেছে, সে সম্পর্কে আমি কিছু জানিনা। যাদের নিয়ে বলা হয়েছে, তাদের কাছেই জানতে চান, তারাই বলবে। এছাড়া এলাকার সাধারণ মানুষও বলবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে আমার বিরুদ্ধে কারা অভিযোগ করেছে, সেটা আমি জানি না। এসব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি তার।