জুলাই সনদ বাস্তবায়নে কোনো ধরনের বিলম্ব হলে তা জাতির সঙ্গে গাদ্দারি হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের। তিনি বলেন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়ার আগেই জামায়াত স্বাক্ষর করলো কেনো এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. তাহের বলেন, এতোদিন যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে সেগুলোর সঙ্গে আমরা একমত। এজন্য আমরা সাইন করেছি। তিনি বলেন, ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে সেটা যেন এই সরকার বাস্তবায়ন করে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আস্থা রেখেই জুলাই সনদে সই করেছি বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা আশা করি উনিও উনার কথা ঠিক রাখবেন এবং বাংলাদেশে নতুন কোনো সংকট তৈরির ক্ষেত্রে উনারা যেন কোনো ধরনের হেজিমনি (কর্তৃত্ব) তৈরি না করেন।

জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. এএইচএম হামিদুর রহমান আজাদ বলেন, ‘আজকে সিগনেচার সিরোমনিটা একটা সুন্দর সমাপ্তির জন্য হয়েছে। কিন্তু ঐকমত্য কমিশনে যে ৮৪টি ধারায় আমরা একমত হয়েছি, কেউ কেউ নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছে- সবচেয়ে ভালো হত নোট অব ডিসেন্ট ছাড়াই যদি স্বাক্ষর হত। তিনি বলেন, আইনি ভিত্তি ছাড়া সামাজিক চুক্তি দিয়ে আমাদের প্রত্যাশার পূর্ণতা আসবে না। এখানে একটা চ্যালেঞ্জ এবং সংকট রয়ে গেল। চ্যালেঞ্জ এবং সংকটটা কেমন ? সংবাদিকের এমন প্রশ্নে জামায়াতের এ নেতা বলেন, সেটা হলো কতটুকু বাস্তবায়ন হবে বা বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া কীভাবে নির্ধারিত হবে।

বাস্তবায়ন নিয়ে সন্দেহ আছে কিনা-- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি আইনি ভিত্তি দিতে হবে। আইনি ভিত্তি যদি না দেন তাহলে এই সনদটা, বিপ্লবের স্পিরিট, ঐকমত্যে পৌঁছানোর জন্য যে সংস্কার সেই উদ্দেশ্যটা ব্যবহত হবে এবং অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। এজন্য আমরা আইনি ভিত্তির জন্য আগেও বলেছি, একটা আদেশ জারি করতে হবে এবং গণভোটের মাধ্যমে এটা টেকসই করতে হবে।