নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জারি করা গণবিজ্ঞপ্তির পর মাত্র ৪০ দিনের মধ্যে ৬৫টি নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদন করেছে। এই সময়ের মধ্যে এমন হারে দল গঠনের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে যেনো নতুন দল গঠনের হিড়িক পড়ে গেছে।
যেসব দলের নাম এসেছে তার মধ্যে অনেকটাই অচেনা, অনেকটা অদ্ভুত ও চমকপ্রদ। ‘বাংলাদেশ বেকার সমাজ, বাংলাদেশ সংসারবন্দি পার্টি, বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণময় পার্টি, বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ, আ-আম জনতা পার্টি, জনতা পার্টি বাংলাদেশ, এমনকি ‘ইউক্লিয়াস পার্টি’ নামেও আবেদন পড়েছে ইসিতে।
নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর আবির্ভাবের ধরনও বৈচিত্র্যময়। কেউ সংবাদ সম্মেলন ডেকে নিজেদের যাত্রা ঘোষণা করছে, কেউবা ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে বা ওয়েবসাইটে আত্মপ্রকাশ ঘটাচ্ছে। আবার অনেক দল নিবন্ধনের আবেদনই একমাত্র কাজ হিসেবে সারছে। তাদের মাঠে তেমন কোনো তৎপরতা নেই, নেই সংগঠনের কাঠামো, কর্মসূচি বা জনসম্পৃক্ততা।
সাংবাদিক শওকত মাহমুদ ও চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বে অভিষেক হওয়া নতুন রাজনৈতিক দল জনতা পার্টি বাংলাদেশ। এ দলের মহাসচিব বলেন, আমরা ‘কিংস পার্টি’ নই, ‘কুইন্স পার্টি’ নই। আমরা নিজের শক্তিতে নির্বাচনে দাঁড়াতে চাই।’
তিনি বলেন, আমাদের পেছনে এমন কোন বেকিং নেই, যে বেকিংয়ের কারণে আমরা আকস্মিকভাবে নেমে পড়েছি আগামী নির্বাচনে আমাদের একটা কিছু করতেই হবে। আমরা আমাদের নিজেদের শক্তিতেই নির্বাচন করতে যাচ্ছি।
ডেসটিনি গ্রুপের বহুল আলোচিত ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমিনও এখন রাজনীতির মাঠে। সম্প্রতি কারাগার থেকে জামিনে বের হয়ে ‘আ-আম জনতা পার্টি’ নামের একটি দলের নেতৃত্বে এগিয়ে আসছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘শুধু ব্যবসা করে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। রাজনীতিতে জড়িত থাকলে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে সরাসরি কাজ করার সুযোগ থাকে। দেশকে উন্নয়নের পথে নিতে হলে সেই ভূমিকা জরুরি।’
রাজনীতিতে আসার পেছনে তার স্পষ্ট বক্তব্য, ‘আমি বিশ্বাস করি, দেশের জন্য কাজ করতে চাইলে রাজনীতিই সবচেয়ে কার্যকর প্ল্যাটফর্ম।’