বিএনপি প্রাথমিকভাবে ২৩৭ আসনে প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা করেছে। সোমবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।
বিএনপির আলোচিত নেত্রী রুমিন ফারহানাকে মানোনয়ন দেয়া হয়নি। তার আসন ঘোষণা স্থগিত রাখা হয়েছে। এটা নিয়ে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মাঝে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বেসরকারি টিভি চ্যানেলের এক টকশোতে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ার প্রসঙ্গে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা।
রুমিন ফারহানা বলেন, নেতাকর্মীদের আবেগকে শ্রদ্ধা করা উচিত। মন খারাপ হওয়া স্বাভাবিক। তবে এ পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী হবে না।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ ১২-১৫ বছর ধরে সুখে-দুঃখে যেসব দল বিএনপির পাশে ছিল, তাদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির আলোচনা হচ্ছে। তাই এখনো কিছু আসন ঝুলে আছে। দল ‘উইনেবল’ প্রার্থী খুঁজে দেখছে সেই বিবেচনায় সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে। দলের কিছু কর্মী মনোনয়ন না পেয়ে রাস্তায় বিক্ষোভ, টায়ার পুড়িয়ে প্রতিবাদ করছেন—এ প্রসঙ্গে রুমিন ফারহানা বলেন, বড় দলে প্রার্থীর সংখ্যা স্বাভাবিকভাবেই বেশি থাকে। অনেক আসনে ১০-১২ জন করে প্রার্থী থাকায় চূড়ান্ত নির্বাচন কঠিন।
রুমিন ফারহানা বলেন, আমার মনোনয়ন আপাতত ‘অন হোল্ড’ অবস্থায় রয়েছে। বিএনপির দীর্ঘদিনের সহযোগী কিছু দলের সঙ্গে জোটগত সমঝোতার কারণেই ৬৩টি আসন এখনো ঘোষণা করা হয়নি। পাশাপাশি নতুন কিছু দলের সঙ্গেও জোটের আলোচনা চলছে।
তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রার্থীদের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছেন এবং মনোনয়ন বণ্টনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে সবাইকে অবহিত করেছেন।
সাবেক সংসদ সদস্য বলেন, যে তালিকাটা করা হয়েছে, সেটা এখনো প্রাথমিক। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন আসতে পারে। কেউ বাদ পড়তে পারেন, আবার নতুন কেউ যুক্তও হতে পারেন। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট কিছু আইনি জটিলতার কারণেও কয়েকটি আসনের মনোনয়ন স্থগিত রয়েছে। বাগেরহাট-২ আসনকে তিনি এর উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন।
তবে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে আলোচিত বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে। এটা নিয়ে সামাজিক মাধ্যম বেশ সরগরম। তিনি কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম) থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন।