দুর্নীতি এবং দুঃশাসনের কারণে জাতি প্রকৃত স্বাধীনতা ভোগ করতে পারেনি
বাংলাদেশ এখন গুরুত্বপূর্ণ বাঁকে দাঁড়িয়ে আছে
সুষ্ঠু নির্বাচনে দলের স্বার্থ না দেখে দেশের স্বার্থ দেখবো
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীরের শপথ নিলেন ডা. শফিকুর রহমান। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তৃতীয়বারের মতো শপথ গ্রহণ করলেন তিনি। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রাজধানীর মগবাজারের আল-ফালাহ মিলনায়তনে নতুন কার্যকাল ২০২৬, ২০২৭ ও ২০২৮-এর জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। আমীরকে শপথ বাক্য পাঠ করান জামায়াতের অভ্যন্তরীণ নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মা’ছুম। অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ এবং নির্বাহী পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে তিনি ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর প্রথমবার এবং ২০২২ সালের ৩১ অক্টোবর দ্বিতীয়বার আমীর নির্বাচিত হন। দলের ইতিহাসে টানা তিন মেয়াদে আমীর হিসেবে দায়িত্ব পালন করা নেতাদের তালিকায় এর আগে ছিলেন কেবল অধ্যাপক গোলাম আযম ও মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, গত ৯ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশের রুকনদের গোপন ব্যালটে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। এতে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে ২০২৬-২০২৮ কার্যকালের জন্য পুনরায় আমীর নির্বাচিত হন ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি ১৯৫৮ সালের ৩১ অক্টোবর মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৪ সালে বরমচাল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ১৯৭৬ সালে সিলেট এমসি কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ১৯৮৩ সালে সিলেট মেডিকেল কলেজ (বর্তমান এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ) থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭৭ সালে ইসলামী ছাত্রশিবিরে যোগ দেন এবং সিলেট মেডিকেল কলেজ শাখা ও সিলেট শহর শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৮৪ সালে জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দেন শফিকুর রহমান এবং পরে সিলেট শহর, জেলা ও মহানগরের আমীর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ সালে তিনি দলের সেক্রেটারি জেনারেল নির্বাচিত হন।
এদিকে শপথ শেষে সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ডাক্তার শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ গঠনতন্ত্রের ধারাবাহিকতায় তিন বছর পর পর কেন্দ্রীয় সংগঠনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই হিসেবে চলমান সেশনে এই বছর ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঐতিহ্যগতভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ডিসেম্বর আসার আগেই কার্যক্রম শুরু করে থাকে। যাতে আগামী বছরের শুরু থেকেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ শুরু করতে পারে। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনকে সাক্ষী রেখে আমি আমার অনুভূতিতে বুঝতে পারি, সংগঠনকে দীর্ঘ সময় ধরে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাদের হাতে যে মানুষগুলো তৈরি হয়েছে সেই মানুষগুলোর মধ্যে আমার চেয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ দক্ষ এবং অভিজ্ঞ সহকর্মী রয়েছে। এরপরও আমি জানিনা- আল্লাহর ইচ্ছায় সম্মানিত সদস্যবৃন্দ আমাকে তাদের এই আমানতের ভার দিয়েছেন। আল্লাহ তায়ালা ভাল জানেন। আমি এই দায়িত্বের জন্য মোটেই যোগ্য মনে করি না। এই যদি আল্লাহ তায়ালার ফয়সালা হয়ে থাকে তাহলে আমার সহকর্মীদের কাছে আমার অনুরোধ আমি আপনাদের একজন ভাই। আমি আপনাদের মতোই একজন। অতীতের দিনগুলোতে আমি একাই সংগঠন পরিচালনা করিনি। আমরা সম্মিলিতভাবেই সংগঠন পরিচালনা করার চেষ্টা করেছি। সংগঠন পরিচালনার মাধ্যমে ভাল কিছু অর্জন হয়ে থাকলে সেটি আল্লাহ তায়ালার একান্ত মেহেরবানি এবং আমার সহকর্মীদের অবদানের কারণে। কিন্তু ভুল ত্রুটি যা হয়েছে এবং আল্লাহ তায়ালার দরবারে আমাদের কোন কার্যক্রম অপছন্দ হয়ে থাকে তাহলে মূলত সেই দায় দায়িত্বটুকু আমার। এজন্য আমি বিগলিত চিত্তে আল্লাহর দরবারে সকল দোষত্রুটি নাফরমানি গোনাহ খাতার জন্য অন্তরের অন্তস্থল থেকে মহান রবের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আল্লাহ তায়ালা আমাকে ক্ষমা করে দিন।
প্রিয় সহকর্মী বৃন্দ, আমাকে ভুল বুঝে ঘৃণা করবেন না। আরও বেশি দরদ দিয়ে আমার কাছে এসে আমাকে সমালোচনা করে সংশোধন করে দিবেন। আপনাদের সমালোচনা নিয়ে নিজেকে যেন সংশোধন করতে পারি আল্লাহ তায়ালা সেই তৌফিক দান করুন।
তিনি আরো বলেন, আমরা আমাদের কৃতজ্ঞতা আদায় করছি। অতি অল্প সময়ের দাওয়াতে আপনারা সাড়া দিয়ে এখানে উপস্থিত হয়েছেন। আপনারা নিজ নিজ দায়িত্বে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা বিশ্বাস করি, অনেক গুরুত্বপূণৃ কাজ রেখে আপনারা এসেছেন। আপনাদের এই ঋণ পরিশোধের যোগ্যতা আমাদের নেই্। আমাদের প্রতি আপনাদের ভালবাসার প্রতিদান যেন আপনাদের সকলকে আল্লাহ দান করেন।
সংগ্রামী রাজনৈতিক সহকর্মীবৃন্দ, আমরা দেশের স্বার্থে জনগণের স্বার্থে কাজ করি। আমরা মানুষ। অনেক সময় আমাদের চিন্তা মিলে, আবার অনেক সময় মিলে না। যখন মিলে যায় তখন বিপত্তি ঘটে না। কিন্তু যখন মিলে না তখন ভিন্ন ভাবনা আসে। আপনাদের কাছে বিনয়ী অনুরোধ আমাদের এই মান অভিমান যে, জাতির কোন ক্ষতি না করে। এই মান অভিমান আমাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকুক। আমরা যেন নিজেদের সমস্যাগুলো পরামর্শের ভিত্তিতে সমাধান করি। ৫৪ বছরেও জাতি প্রকৃত স্বাধীনতা ভোগ করতে পারেনি। কেন পারেনি ? মুলত দুটি কারণে পারেনি। একটি হচ্ছে দুর্নীতি আরেকটি হচ্ছে দু:শাসন। এই দায়বদ্ধতা থেকে আমরাও মুক্ত নই। যদি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সব সময় চেষ্টা করে এসেছে। আমরা মানুষ হিসেবে ভুল হয়েই যায়। এজন্য আমরা বার বার জাতির কাছে ক্ষমা চাইতেই থাকবো। একদল মানুষ আমাদের এই ক্ষমা চাওয়াকে পছন্দ করে না। তারা বলে ক্ষমা চাওয়ার দরকার নেই। জামায়াতের আমীর উদাহরণ দিয়ে বলেন, রাসুল সাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম বেহেশতের ওয়ারেন্টি পেয়েছেন। আগে পরে সমস্ত গোনাহ থেকে ক্ষমার সুসংবাদ পেয়েছেন। তিনি বলেছেন হে আমার উম্মত তোমরা জেনে রাখো- আমি দিনে ৭০ বার অথবা ১০০ বার ক্ষমা চেয়ে থাকি। তিনি আমাদের শিখিয়ে গেছেন ক্ষমা চাওয়াটা মহত্বের লক্ষণ। এটা হলো দুনিয়ার বোঝা দুনিয়াতে হালকা করার সুবিধা। দুনিয়ার বোঝা ঘাড়ে করে আখেরাতে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
তিনি উল্লেখ করেন, বিগত সাড়ে ১৫ বছর জাতি একটা দ:সময় পার করেছে। আলেম ওলামাসহ সকল শ্রেণিপেশার মানুষ মজলুম ছিল। এসময়ে আমরা অনেক সাথী বন্ধু এবং দায়িত্বশীলকে হারিয়েছি। অনেকে গায়েব হয়েছেন। গুম করা হয়েছে অনেককে। তাদের স্বজনরা জানে না তারা বেঁচে আছে কি-না। লক্ষ মামলায় বারে বারে জেলে যেতে হয়েছে। আমাদের ওপর অপশাসন এবং কালো আইন চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। স্বৈরাচারের অনুমতি নিয়ে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হয়েছে। কেউ কেউ তা করেছেন। আমরা তা করিনি। আল্লাহ যতটুকু সমর্থন দিয়েছেন ততটুকু নিয়েই রাস্তায় নেমেছি। আমরা জানতাম আমাদের ধরে নেওয়া হবে মারা হবে জেলে নেওয়া হবে। আমাদের আমীর, নায়েবে আমীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলকে আমাদের বুক থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। শহীদের তালিকায় জামায়াতের শীর্ষ ১১ জন নেতা ছিলেন। অনেকে জীবন দিয়েছে অনেকে আহত হয়েছে আবার অনেকে বিছানাতে পড়ে আছে। একান্ত জরুরী কাজগুলো করতে পারে না। তিনি তাদের কবুল করার জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থণা করেন। তিনি ১৯৪৭, ১৯৫২, ১৯৭১,১৯৯০ ও ২০২৪ সালে হতাহতদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন এবং শাহাদাতের মর্যাদা কামনা করেন। জীবিতদের সম্মানের সাথে বেঁচে থাকার প্রত্যাশা করেন। শহীদ ডা. মিলনের শাহাদাত কামনা করেন। তাদের অবদান ধরে রেখে আগামীতে যুব সমাজ সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে। তাদের প্রত্যাশা পূরণে সবাই একসাতে কাজ করার আহ্বান জানান ডা. শফিকুর রহমান।
আমীরে জামায়াত বলেন, আমরা একটা গুরুত্বপূর্ণ সময় পার করছি। আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন। আল্লাহর কাছে প্রার্থণা তিনি যে, নিজের জিম্মায় একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করে দেন। এই ক্ষেত্রে আমরা যারা রাজনৈতিক বন্ধুরা আছি, দলের স্বার্থকে না দেখে জনগণের ভোটের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমরা যেন আগামীর রাজনীতি করতে পারি সেই তৌফিক চাই আল্লাহর কাছে। আমি আমার সহকর্মীদের অনুরোধ জানাবো কোন ব্যক্তি কিংবা দলের প্রতি অন্ধ ভক্ত হবো না। আমাদের প্রেম ভালবাসা আল্লাহর জন্য। তারপর এই জমিনের জন্য। তারপর মানুষের জন্য। এই ভালবাসা হবে আপসহীন। সেভাবেই যেন আগামীর নির্বাচন অর্থবহ করতে পারি। আমরা যেন প্রমাণ করি আগামীর বাংলাদেশ আগের বিধ্বস্ত বাংলাদেশ না। আগে যে রাজনীতির অপসংস্কৃতি ছিল সেই কালো ছায়া থেকে বাংলাদেশ বেরিয়ে এসেছে। নতুন বাংলাদেশ হয়েছে। যেজন্য অপেক্ষায় আছে ১৮ কোটি মানুষ। তিনি প্রবাসীদের আন্দোলনের সময় ভূমিকা রাখার প্রসংশা করেন। তখন তারা রেমিটেন্স শাট ডাউন করে দিয়েছিল। তাদের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন তাদের ভোটের সমস্ত ব্যবস্থা করার আহ্বান জানাই।
ডা. শফিক বলেন, নতুন বাংলাদেশের যে প্রত্যাশা জেগে উঠেছে সেই বাংলাদেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আমরা সবাই মিলে একসাথে কাজ করবো। এখানে কোন রাজনৈতিক বিভাজন থাকবে না। মেজরিটি মাইরোটি থাকবে না। তা দেখতে চাই। ঐক্যবদ্ধ জাতি চাই। আমাদের মধ্যে পরিকল্পিতভাবে বিভাজন তৈরি করা হয়েছে। তা মানতে চাই না। বাংলাদেশের সীমানা এবং আসমানের নিচে যারাই জন্মগ্রহণ করবে সবাই বাংলাদেশী। তারাই এই দেশের নাগরিক। তাদের সমান অধিকার নিশ্চিত হবে ইনশা আল্লাহ। আল্লাহ আমাদের সবাইকে কবুল করুন। আমীন।
আমীরে জামায়াতের হুশিয়ারি জামায়াত কোনো সন্ত্রাসের কাছে মাথা নত করবে না
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে দেয়া স্ট্যাটাসে বলেছেন, পাবনার ইশ্বরদীতে আজ যা ঘটে গেল তা হঠাৎ করে হয়নি।
বিএনপির দলীয় প্রার্থীর অসহিষ্ণু, অগণতান্ত্রিক ও উস্কানিমূলক বক্তব্য এবং কর্মকাণ্ড বারবার প্রমাণ করছেÑ এটি ব্যালটের যুদ্ধ নয়; বরং বুলেট দিয়ে তিনি তার সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চান।
প্রশাসন যে সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলে আসছে, জনগণ দেখতে চায় প্রশাসন কী করে। তবে সকল সন্ত্রাসীর ব্যাপারে আমাদের বার্তা হলোÑ জামায়াত কোনো সন্ত্রাসের কাছে মাথা নত করবে না।
জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে লড়াই আমাদের আরও জোরদার হবে। সন্ত্রাস ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা লড়াই চালিয়ে যাব। ইনশাআল্লাহ আমরা থামব না।
সেক্রেটারি জেনারেলের নিন্দা: পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সংসদ সদস্য প্রার্থী, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও পাবনা জেলা আমীর অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডলের নির্বাচনীয় প্রচারণায় বিএনপি প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবের সমর্থকদের দ্বারা দফায় দফায় সন্ত্রাসী হামলা, গুলিবর্ষণ, গাড়ি ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি মিয়া গোলাম পরওয়ার গত বৃহস্পতিবার বিবৃতি দিয়েছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ২৭ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ি জগির মোড় এলাকায় এ বর্বরোচিত হামলায় অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডলসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে এবং শতাধিক মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে-যা একটি সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনী পরিবেশকে নস্যাৎ করার প্রকাশ্য অপচেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, একদিন আগে একই এলাকায় জামায়াতের কর্মীদের ওপর বিএনপির স্থানীয় সন্ত্রাসীদের হামলার পর আজকের এই সশস্ত্র আক্রমণ প্রমাণ করে যে, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকরা একটি ভয়াবহ সহিংস পরিবেশ সৃষ্টি করে নির্বাচনকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দিতে চাইছে। একটি গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচনী মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ওপর আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
তিনি বলেন, আমি এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। পাশাপাশি আহত সকল নেতা-কর্মীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি এবং তাদের পাশে থাকার জন্য জেলা ও স্থানীয় নেতৃত্বকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিচ্ছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের ওপর এ ধরনের বর্বরোচিত হামলা গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশের প্রতি সরাসরি হুমকি। আমরা শান্তিপূর্ণ প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর এবং যেকোনো ধরনের সন্ত্রাসী হামলার বিরুদ্ধে আমাদের শক্ত অবস্থান অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।