অর্থনীতি
এক হালি লেবু ১৫০, শসা ১০০ টাকা কেজি
রমজানে শসা ও লেবুর বাজারে আগুন
বাজারে এক হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ১৫০ টাকায়। দেড় সপ্তাহ আগেও লেবুর সর্বোচ্চ মূল্য ছিল ৩০- ৪০ টাকা। সে সময় ২০ টাকাতেও এক হালি লেবু কেনা গেছে। এখন ৬০ টাকার নিচে মিলছে না। বাজারে দেখা গেছে, এক হালি এলাচি লেবু ৮০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সিলেটের শরবতি লেবুর দাম এক হালি ৮০ থেকে ১০০ টাকা। অন্যদিকে কাগজি লেবু এক হালি ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

রমজান মানেই ব্যবসাইদের ব্যবসার একটা সিজন মাস। অন্য মাসের তুলনায় রোজার মাসে নিত্য পণ্যের দাম একটু বেশি থাকে। বিশষ করে রোজার ইফতারের অনুষঙ্গগুলোর দাম তো থাকে আগুন। তেমনই লেবু ও শসা। রোজা শুরুর একদিন আগে থেকে ইফতারের অত্যাবশ্যকীয় উপাদান লেবু চড়া মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। শুধু লেবু নয় শসার বাজারেও আগুন। ড়েছে বেগুনের দামও। এগুলো দেখারও যেন কেউ নেই।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর শাহজাহানপুর ও খিলগাঁও কাঁচাবাজার, রামপুরা, কারওয়ান বাজারের এমন চিত্র দেখা যায়।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামীকাল শনিবার থেকে বাংলাদেশে শুরু হচ্ছে পবিত্র মাহে রমজান। এর আগেই বাজারে প্রায় সকল পণ্যের দাম বেড়েছে। প্রতি বছরের মতো লেবু, শসা এবং বেগুনের দাম বেড়ে গেছে।
বাজারে এক হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ১৫০ টাকায়। দেড় সপ্তাহ আগেও লেবুর সর্বোচ্চ মূল্য ছিল ৩০- ৪০ টাকা। সে সময় ২০ টাকাতেও এক হালি লেবু কেনা গেছে। এখন ৬০ টাকার নিচে মিলছে না। বাজারে দেখা গেছে, এক হালি এলাচি লেবু ৮০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সিলেটের শরবতি লেবুর দাম এক হালি ৮০ থেকে ১০০ টাকা। অন্যদিকে কাগজি লেবু এক হালি ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে বেগুনের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। লম্বা বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা দরে এবং গোল বেগুন ৮০ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে।
শুধু ক্রেতারাই নয়, খুচরা বিক্রেতারাও বলছেন লেবুর হঠাৎ মূল্যবৃদ্ধি অস্বাভাবিক, অযৌক্তিক। রোজায় শরবত তৈরির জন্য লেবুর চাহিদা বেড়ে যায়। এটাকেই সুযোগ হিসেবে নিয়ে সরবরাহকারীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, এখন লেবুর মৌসুম নয় বলে দাম বাড়তি থাকা স্বাভাবিক। তবে যতটা বেড়েছে তা স্বাভাবিক নয়।
ক্রেতারা বলছেন, প্রতিবছর রোজার মাস আসলেই অধিকাংশ পণ্যের দাম বৃদ্ধি করা হয়। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে লেবু এবং শসা। এভাবে দাম বাড়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। রমজান মাসের আগে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে এভাবে প্রতিবছর ইফতারের আনুষঙ্গিক পণ্যগুলোর দাম বৃদ্ধি করে থাকে। এগুলো দেখার যেন কেউ নেই।