নুরুল আমিন মিন্টু, চট্টগ্রাম ব্যুরো : আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে চট্টগ্রামে কুরবানির জন্য স্থানীয়ভাবে পর্যাপ্ত গবাদিপশু প্রস্তুত রয়েছে। চট্টগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্যমতে, চলতি বছরে জেলার প্রায় ৯ লাখ পশুর চাহিদার বিপরীতে ইতোমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে ৮ লাখ ৬০ হাজার ২৮৮টি গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া।

চট্টগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আলমগীর জানান, “চাহিদার তুলনায় সামান্য ঘাটতি থাকলেও উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। পার্শ্ববর্তী জেলাগুলো থেকে পশু সরবরাহ নিশ্চিত করতে আমরা যোগাযোগ রাখছি। ফলে কুরবানির পশুর কোনো সংকট হবে না বলেই আমরা আশাবাদী।” তিনি আরও জানান, “যদিও পশু খাদ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে কিছুটা মূল্যবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে, তবুও বাজারে পর্যাপ্ত পশু থাকবে।”

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার খামারি মো. ইব্রাহিম বলেন, “আমরা গরু ও ছাগল নিয়ে কুরবানির হাটে বসার প্রস্তুতি নিচ্ছি। ইতোমধ্যে সিটির বিভিন্ন ছোট ছোট হাট থেকে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে পশু খাদ্যের দাম বাড়ায় এবার পশুর দাম কিছুটা বাড়তি হবে।”

তিনি অভিযোগ করে বলেন, “গমের ভূষি, সয়াবিন খৈলসহ বিভিন্ন খাদ্যের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে গেছে। তিন বছর আগেও গমের ভূষি ২৫-৩০ টাকায় কিনলেও এখন তা কিনতে হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকায়। সয়াবিন খৈলের দাম ৭০ টাকার উপরে।” ইব্রাহিম আরও বলেন, “এই খরচের কারণে আমাদের মতো ছোট খামারিদের টিকে থাকা কঠিন হয়ে গেছে। যদি সরকার পশুখাদ্যের দামের বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়, তবে অনেকেই খামার বন্ধ করতে বাধ্য হবে।”

এদিকে, কুরবানির পশুর হাটগুলোর প্রস্তুতিও শেষ পর্যায়ে রয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এবং জেলা প্রশাসনের নির্ধারিত স্থানে হাট বসাতে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। একইসঙ্গে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।