ছাতক (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতা : মাঠের কাদায় পা ডুবিয়ে ব্যস্ত হাতে ধানের চারা রোপণ করছেন আলী হোসেন। নাদামপুর গ্রামের এই কৃষক এবার ২৫ বিঘা জমিতে রোপা আমন চাষের উদ্যোগ নিয়েছেন। এরই মধ্যে ১০ বিঘায় চারা রোপণ শেষ করেছেন তিনি। তবে বাকিটা করতে কিছুটা দেরি হচ্ছে। কারণ, পানির স্বল্পতা আর লোকবল সংকট। তবুও মুখে হাসির কারণ বড় ধরনের বন্যার ভয় এবার আর নেই। শুধু আলী হোসেনই নন, ইসলামপুর ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া গ্রামের কৃষক অপু দাসও একই আশায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। তিনি বলেন, “আমার ১০ বিঘা জমির মধ্যে চার বিঘায় চারা রোপণ শেষ করেছি। বাকি অংশ দু’সপ্তাহের মধ্যে শেষ হবে। আবহাওয়া যেমন আছে, উপরওয়ালা চাইলে এবার ফলন ভালো হবে। প্রতি বছরই ছাতকসহ হাওরাঞ্চলের কৃষকরা রোপা আমন চাষ শুরু করেন শঙ্কা নিয়ে। কারণ, অতিরিক্ত বন্যা তাদের ফসল ডুবিয়ে দিতে পারে। কিন্তু এবার সেই ভয় নেই। বরং সময়মতো বীজতলায় চারা উৎপাদন হয়েছে, আর এখন চলছে মাঠে রোপণের ব্যস্ততা। উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চলতি মৌসুমে ১৩ হাজার ৭০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এরই মধ্যে পাঁচ হাজারের বেশি হেক্টরে চারা রোপণ শেষ হয়েছে। সেপ্টেম্বরে পুরো কাজ শেষ হবে। আর নভেম্বর-ডিসেম্বরে মাঠ ভরে উঠবে পাকা ধানে। চাষাবাদে উৎসাহ দিতে সরকার এ বছর দুই হাজার ২৫০ জন কৃষককে বিনা মূল্যে সার ও বীজ দিয়েছে। মাঠে এখন ব্রি ও বিনার উচ্চফলনশীল জাতের পাশাপাশি স্থানীয় গুটি, চিনিগুঁড়া, লতিশাইল আর বিরুইন ধানের চারা শোভা পাচ্ছে। ছাতক উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তৌফিক হোসেন খান বলেন, বোরোর পর আমন দ্বিতীয় প্রধান ফসল। ২০২১ সালের বড় বন্যার পর গত চার বছর ধরে আমনে ভালো ফলন হয়েছে। এবারও বড় বন্যার শঙ্কা নেই, তাই কৃষকেরা নিশ্চিন্তে চাষাবাদে মন দিচ্ছেন। মাঠে কাদায় ভিজে ঘাম ঝরানো কৃষকদের চোখেমুখে তাই এখন একটাই আশা সব ঠিক থাকলে এবার রোপা আমনে হাসি ফুটবে পরিবারে।
কৃষি
রোপা আমন চাষে অনেক আশা কৃষকের
মাঠের কাদায় পা ডুবিয়ে ব্যস্ত হাতে ধানের চারা রোপণ করছেন আলী হোসেন। নাদামপুর গ্রামের এই কৃষক এবার ২৫ বিঘা জমিতে রোপা আমন চাষের উদ্যোগ নিয়েছেন। এরই মধ্যে ১০ বিঘায় চারা রোপণ শেষ করেছেন তিনি। তবে বাকিটা করতে কিছুটা দেরি হচ্ছে। কারণ, পানির স্বল্পতা আর লোকবল সংকট।
Printed Edition
