বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে বিগত বছরের ফলাফলের আলোকে বর্তমান সময়ে ব্যাপক জনপ্রিয় বস্তায় আদা চাষ ও হলুদ চাষকে আরো লাভজনক করার জন্য নতুন গবেষনার প্রয়োজন বলে মনে করেন কৃষি বিজ্ঞানীরা। এ অঞলে নিরাপদ কৃষি পণ্য ফলনে পোঁকা-মাকড় ও রোগ-জীবাণুর সমস্যা দূরিকরণে আরো বিস্তর গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলেও মত দেন কৃষি গবেষণার সাথে সংশ্লিষ্ট কৃষি বিজ্ঞানীরা। এছাড়া সরিষার আবাদ বৃদ্ধিকারী বারি সরিষা-১৮ এবং বারি সরিষা-২০ সিলেট অঞ্চলে আবাদের জন্য চিহ্নিত করে পতিত জমিতে চাষাবাদে ডাল, তেল, আলু ও গম ইত্যাদির যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে বলে কৃষি বিজ্ঞানীরা তাদের বক্তব্যে তুলে ধরেন। গত বুধবার মৌলভীবাজার সদরের আকবরপুরে অবস্থিত আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর প্রশিক্ষণ ভবনে দু‘দিনব্যাপী আঞ্চলিক গবেষণা-সম্প্রসারণ পর্যালোচনা ও কর্মসূচী প্রণয়ন শীর্ষক কর্মশালার শেষ দিনে এসব মতামত তুলে ধরেন কৃষি বিজ্ঞানীরা। এর আগে কর্মশালার উদ্ভোধন করেন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ড.আশরাফ উদ্দিন। আকবরপুর কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট এর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মাহমুদুল ইসলাম নজরুল এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন,কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সিলেট অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক ড. মোঃ মোশাররফ হোসেন। কর্মশালায় সিলেট অঞ্চলের কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধিনস্থ সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, বারি সিলেট আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, বারি মৌলভীবাজার,সাইট্রাস গবেষণা কেন্দ্র, বারি, জৈনন্তাপুর, সিলেট, আঞ্চলিক ধান গবেষণা কেন্দ্র, হবিগঞ্জ, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, সিলেট, বিনা, সুনামগঞ্জ, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের সিলেট অঞ্চলের সকল জেলার উপ-পরিচালক, জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা; বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন, সিলেটের উপ-পরিচালক (বীজ), যুগ্ম পরিচালকবৃন্দ, কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের উপপরিচালক, কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি এবং উপকারভোগী কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।