সামসুদ্দিন তুহিন, টঙ্গীবাড়ী (মুন্সীগঞ্জ) সংবাদদাতা : মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে কৃষকের মনে ফসল তোলার আনন্দ, দিগন্তজোড়া ধানক্ষেত এখন পাকা সোনালী রঙে ভরে উঠেছে, উপজেলার ধান আবাদ করা কৃষি জমি গুলোতে চলছে ধান কাটার মহাযজ্ঞ। উপজেলার চাষীদের চোখেমুখে দেখা যাচ্ছে অন্য এক আনন্দের চিত্র, ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকদের মনে আনন্দ উৎশ্বাস দেখা দিয়েছে।এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় অন্যান্য বছরের তুলনায় ধানের ফলন ভালো হয়েছে। তবে চাষাবাদে খরচের পরিমাণ অন্যান্য বছরের তুলনায় একটু বেশি হয়েছে বলে স্থানীয় কৃষকরা জানান। ধান চাষী রিফাত ঢালী জানান এবার আমি ৩৫ শতাংশ জমিতে ধান আবাদ করেছি ধানের ফলন অন্যান্য বছরের তুলনায় ভালো হয়েছে। কিন্তু এবার বৃষ্টি কম হওয়ায় প্রচুর পরিমাণে পানি সেচ দিতে হয়েছে এবং ব্যতিক্রম আবহাওয়ার কারণে নানা ধরনের রোগ বালাই দেখা দেওয়ায় বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক, ছত্রাক নাশক, ভিটামিন ও সার প্রয়োগ করতে হয়েছে এজন্য ধানের ফলন ভালো হলেও খরচের পরিমাণ একটু বেশি হয়েছে। এছাড়া তিনি দৈনিক সংগ্রাম সংবাদদাতার নিকট তার আবাদকৃত জমির সম্পূর্ণ হিসাব তুলে ধরে জানান- আমার ৩৫ শতাংশ জমিতে খরচ করা খাতগুলো হলো- ধানের বীজ ১৭শ টাকা, ধান রোপণ ও ধান কাটার খরচ ১২ হাজার ১শ ২০ টাকা, কীটনাশক ৪ হাজার টাকা, পুরো সীজনে পানি সেচ দেয়ার জন্য ডিজেল লেগেছে ৪হাজার টাকার, সার প্রয়োগ করা হয়েছে ২১শ টাকার, ধান মাড়াই করতে লেগেছে ২৫শ টাকা, চাষ দিয়ে জমি প্রস্তুত ও পানি সেচ বাবদ লেগেছে ৫ হাজার ২শ টাকা, পুরো সীজনে আমার ৩৫ শতাংশ জমিতে সর্বমোট খরচ হয়েছে ৩১ হাজার ৬শ ২০ টাকা যা অন্যান্য বছরের তুলনায় একটু বেশি, তবে ধান হয়েছে প্রায় ৩১ মণের মতো। এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জয়নুল আলম তালুকদার জানান এবার আবহাওয়া ধান চাষের জন্য ভালো ছিলো, এই উপজেলায় এবার ২ হাজার ৫শ ১৭ হেক্টর জমিতে নানা প্রজাতির ইরি ধান আবাদ করা করা হয়েছে যা অন্যান্য বছরের তুলনায় ৮ হেক্টর বেশি।
কৃষি
টঙ্গীবাড়ীতে ধানের বাম্পার ফলন
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে কৃষকের মনে ফসল তোলার আনন্দ, দিগন্তজোড়া ধানক্ষেত এখন পাকা সোনালী রঙে ভরে উঠেছে, উপজেলার ধান আবাদ করা কৃষি জমি গুলোতে চলছে ধান কাটার মহাযজ্ঞ।
Printed Edition
