তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা : সিরাজগঞ্জের তাড়াশের চলনবিলের বিভিন্ন অঞ্চলে বোরো ধান কাটা শেষ। এসময় কৃষক জমিতে স্বল্প পরিসরে বিভিন্ন জাতের বর্ষাকালীন বোনা ও রোপা আউশের ধানের আবাদ শুরু করবেন। আর এতেই তাড়াশের বিস্তীর্ণ ফসলি মাঠ যেনো গোচারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে।

স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় কৃষক বিভিন্ন জাতের বর্ষাকালীন বোনা ও রোপা আউশ ধানের আবাদ করে থাকেন। চলনবিলের কৃষকেরা বৃষ্টির উপর নির্ভর করে জমি চাষ, বীজতলা তৈরী, বীজ বপন ও রোপনের কাজ করে থাকেন। যেহেতু এখনও বর্ষাকালীন রোপা ও আউস ধানের মৌসুম পুরোদমে শুরু হয়নি। আর এতেই কপাল খুলেছে গবাদী পশু পালনকারীদের। বিস্তীর্ণ অনাবাদী জমির মাঠ যেন গোচারণ ভূমিতে পরিনত হয়েছে। যে মাঠের দিকেই তাকানো হোক না কেন, দেখা যাচ্ছে ঝাকে ঝাকে গবাদি পশু মাঠে বিচরণ করছে। এতে অনেক ছোট খামারী স্বস্তিতে আছেন কারন তাদের গবাদী পশুর খাবার খরচ অনেকটাই কমে গেছে। ফলে প্রান্তিক খামারিরা আর্থিত ভাবে লাভবান হবার স্বপ্ন দেখছেন। তাড়াশ পৌর সদরের গবাদী পশু পালনকারী হরনাথ জানান, আমরা ছোট কৃষক কেনা খাবারে গরু পালন করা আমাদের জন্য কঠিন। তাই বেশির ভাগ সময়ই গরুকে মাঠের খাবার খাইয়ে পালন করি। এখনতো প্রায় সকল মাঠের ধানই কাটা হয়েছে। এতে আমার মতো যারা বাহিরের খাবারের উপর নির্ভর করে গরু পালন করেন তাদের জন্য খুবই ভালো হয়েছে। যেহেতু কোন মাঠেই ফসল নাই তাই নিশ্চিন্তে গরু চড়াতে পারছি। গরু গুলোকে মাঠে ছেড়ে দিয়ে নিশ্চিন্তে গাছের ছায়ায় বিশ্রামও নিতে পারছি।

এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, চলনবিল এলাকায় বোরো ধান কাটা শেষ। বর্ষাকালীন রোপা ও আউস ধানের মৌসুম এখনও পুরোদমে শুরু হয়নি। আর এ সময়টিতে বিস্তীর্ণ অনাবাদী জমির মাঠ গোচারণ ভূমি হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।