বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) ‘Productivity Enhancement of Mustard-Boro-T. Aman Cropping System in Bangladesh’ প্রকল্পের আওতায় সরিষা-বোরো-আমান ফসল পদ্ধতির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গবেষণা কার্যক্রম সফলভাবে পরিচালনা করছে। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর ২০২৫) ব্রি’র সদর দপ্তরে প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা ও অভ্যন্তরীণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (BARC)-এর উদ্যোগে বাস্তবায়িত ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি প্রোগ্রাম-ফেজ-২ (NATP-2)এর অধীনে ব্রি’র কৃষিবিদ্যা বিভাগ (Agronomy Division) এই গবেষণার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ব্রি’র প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালক ড. আব্দুল কাদের মিয়া। তিনি গবেষণা অগ্রগতি তুলে ধরে বলেন, সরিষা-বোরো-আমান ফসল পদ্ধতিকে আরও ফলনশীল, টেকসই ও লাভজনক করার জন্য আমরা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সঙ্গে কাজ করছি। এই গবেষণা বাংলাদেশের কৃষিকে আরও উৎপাদনমুখী ও পরিবেশবান্ধব করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রি’র পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. রফিকুল ইসলাম, পরিচালক (প্রশাসন ও সাধারণ পরিচর্যা) ড. মুন্নুজান খানম, পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. মো. নজরুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি ড. নুরুল ইসলাম, এবং প্রকল্পের টিম লিডার ও প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. নাসিমা খাতুন।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্রি’র কৃষিবিদ্যা বিভাগের প্রধান ও প্রকল্পের সমন্বয়কারী ড. মো. নূরুল হুদা, যিনি বলেন, ফসল বিন্যাস ও পুষ্টি ব্যবস্থাপনায় আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগ করলে কৃষকরা একই জমিতে অধিক ফসল ফলাতে পারবেন, যা খাদ্য নিরাপত্তা ও কৃষকের আয় বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
এছাড়া বক্তারা বলেন, সরিষা-বোরো-আমান ফসল পদ্ধতি বাংলাদেশের কৃষি উৎপাদনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এই পদ্ধতির মাধ্যমে বছরে তিনটি মৌসুমি ফসল ঘুরিয়ে চাষের ফলে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি, কীটনাশক ব্যবহারে সাশ্রয় এবং জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত হয়।
শেষে ব্রি’র কৃষিবিদ্যা বিভাগের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. গোলাম ফারুক বাপ্পী ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং কৃষি উদ্ভাবনে তরুণ গবেষকদের সক্রিয় অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।