টঙ্গীবাড়ী (মুন্সীগঞ্জ) সংবাদদাতা: বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ কৃষিপণ্য হিসেবে পাটের নাম বিশ্বের পরিচিত। পাট উৎপাদন ও তার পরবর্তী প্রক্রিয়া কৃষকদের জীবিকা নির্বাহের উৎস হিসেবে কাজ করছে কিছু কিছু জেলায়। সম্প্রতি, টঙ্গীবাড়ী উপজেলার কৃষকরা পাটের উৎপাদন সুন্দর ভাবে করার পর বর্তমানে তারা পাটের আশ ছাড়ানো ও সংরক্ষণ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
এ বছর টঙ্গীবাড়ীতে পাটের উৎপাদন অন্যান্য বছরের তুলনায় ভালো হয়েছে। কৃষকদের মতে, সঠিক সময়ে চাষাবাদ, উপযুক্ত জলবায়ু এবং আধুনিক পদ্ধতিতে কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার এর মূল কারণ। এই বছর উর্বর জমিতে পাট চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং কৃষকদের উৎপাদনেও যথেষ্ট গতি এসেছে।
স্থানীয় কৃষক তাহিদুল শিকদার জানান তারা (টঙ্গীবাড়ীর) পুরুষ ও মহিলারা একত্রিত হয়ে তাদের কাজ ভাগ করে নেন, কেউ পাটের আশঁ ছাড়ানোর কাজ করেন আবার কেউবা ছাড়ানো আশঁ পানিতে পরিস্কার করেন, এরপর তা শুকানোর জন্য বিভিন্ন গাছের সাথে বাঁশ অথবা রশি বেধে আড়া বানিয়ে রোদে দেন তারপর ৫থেকে ৭দিন শুকানোর পর তা সংরক্ষণ করেন,এরপর উপজেলার বিভিন্ন হাটে বিক্রির জন্য নেওয়া হয়, অনেক সময় দেখা যায় পাট কেনার পায়কার বাড়ীতেও আসেন ক্রয় করার জন্য। এছাড়া পাট গাছের কাঠি(খড়ি)দিয়ে বানানো হয় নানা ধরনের বেড়া,রান্না ঘরের চালা,ও রান্নার কাজে জালানি হিসেবেও ব্যবহার করা হয়।
এছাড়া তারা আরও জানান পাটের আশ ছাড়ানোর পর, সেগুলো সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি পাট যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করা হয়,তাহলে তার গুণগত মান নষ্ট হতে পারে এবং বাজারে বিক্রি করার সময় ক্ষতি হতে পারে।