গোমস্তাপুর (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) সংবাদদাতা : চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে গত কয়েকদিন থেকে টানা বৃষ্টির ফলে তলিয়ে গেছে ধানসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত। এতে কৃষকদের মাথায় দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, রাতদিন কষ্ট করে সোনার ফসলের আশায় ৪ মাসের বেশি সময় ধরে সীমাহীন কষ্ট ও ঋণের অর্থ ব্যয় করেছি; কিন্তু সেই কষ্টের ফসল হতে যাচ্ছে প্রায় শূন্য! কারণ, শ্রমিকসংকট ও টানা বৃষ্টির কারণে পানিতে ডুবে গেছে মাঠের পাকা ধান। দুই-তিন দিনের মধ্যে ধান কেটে ঘরে তুলতে না পারলে সব ধান নষ্ট হয়ে যাবে।
কৃষক আব্দুল্লাহ জানান, ধারদেনা করে আবাদ করছি। পরিকল্পনা ছিল কিছু ধান বেচে ঋণের টাকা শোধ করব। আর বাকি ধান দিয়ে সংসারের কয়েক মাসের খোরপোষ হবে; কিন্তু ফসল ঘরে তোলার আগমুহূর্তে বৈরী আবহাওয়া আর শ্রমিকের সংকটে তাঁদের সব পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে।
অপর কৃষক জুনাইদ আহমেদ বলেন, পানিতে জমির ধান তলিয়ে গেছে। ধান কাটতে না পারলে পানির নিচে গাঁজ ধরবে। ধান কাটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় দুশ্চিন্তার শেষ নেই। কয়েক দিনের বৃষ্টিতে পাকা ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ডুবে যাওয়া ধান কাটতে শ্রমিকেরা অনেক বেশি মজুরি চাচ্ছে। তিনি আরও জানান, ধান কাটতে তাদের টালবাহানার শেষ নেই।
সরেজমিনে দেখা যায়, গত তিন-চার দিনের টানা বৃষ্টিতে জেলার নিচু এলাকার পাকা ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। অনেক জমির ধানগাছ পানিতে শুয়ে পড়ছে। এ ছাড়া যে জমিগুলোতে এখনো ধানগাছ গলা পানিতে উঁকি দিচ্ছে, সেগুলোর শীষ আস্তে আস্তে ভেঙে পড়ছে।
ধান কাটা কয়েকজন শ্রমিকের সাথে আলাপকালে জানা গেছে, বৈরী আবহাওয়া, পানিতে ডুবে ধান নষ্ট হয়ে যাওয়া এবং ঝড়ে খেতের ধান এলোমেলোভাবে নুয়ে পড়ায় এবার ধান কাটতে বেশি পরিশ্রম লাগছে। এ ছাড়া অধিকাংশ খেতের ধানই ভেজা অবস্থায় তোলা হচ্ছে। আবার পানিতে ডুবে অনেক ধান নষ্ট হয়ে গেছে। এ জন্য এবার গতবারের তুলনায় তারা পারিশ্রমিক একটু বেশি নেয়া হচ্ছে।
এছাড়াও সোমবারের বৃষ্টিতে গোমস্তাপুর উপজেলার অনেক জায়গায় জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছিল। যার ফলে পথচারীদের চলাচলে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়।