DailySangram-Logo-en-H90
ই-পেপার আজকের পত্রিকা

কৃষি

শ্যামনগরের উপকূলীয় কৃষকরা ঝুঁকছে তরমুজ চাষে

তরমুজ পুষ্টি গুণের পাওয়ার হাউজ নামে খ্যাত। তরমুজে প্রচুর পরিমাণ পানি থাকে যার পরিমান ৯২ শতাংশের ও উপর। গরমের সময় যখন ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি বের হয়ে যায়, তখন তরমুজ খেলে শরীরের পানিশূন্যতা দূর হয়। ফলে শরীর সুস্থ, সতেজ ও সবল থাকে। পুষ্টি গুনে ভরপুর এ তরমুজে ভিটামিন এ, সি, বি ও বি-২, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম সহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান।

Printed Edition
dfdd

মো. রফিকুল ইসলাম, শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) : তরমুজ পুষ্টি গুণের পাওয়ার হাউজ নামে খ্যাত। তরমুজে প্রচুর পরিমাণ পানি থাকে যার পরিমান ৯২ শতাংশের ও উপর। গরমের সময় যখন ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি বের হয়ে যায়, তখন তরমুজ খেলে শরীরের পানিশূন্যতা দূর হয়। ফলে শরীর সুস্থ, সতেজ ও সবল থাকে। পুষ্টি গুনে ভরপুর এ তরমুজে ভিটামিন এ, সি, বি ও বি-২, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম সহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান।

বিভিন্ন গুণে গুণান্বিত সুস্বাদু এ ফল উৎপাদন, প্রচার প্রসার ও পরিচিতি দেশজুড়ে বিস্তৃত। কিন্তু প্রত্যন্ত শ্যামনগর উপজেলার উপকূলীয় অঞ্চলের নিম্ন ও মধ্যবিত্ত কৃষকরা এ ফল উৎপাদনের মাধ্যমে তাদের অর্থনৈতিক চাকা গতিশীলতার মধ্য দিয়ে ভাগ্য বদলের চেষ্টা করছে। গ্রীষ্ম মৌসুমী এ ফসল কিন্তু এখন বারোমাস চাষ হয়। মৌসুম শুরু হতে না হতে উপকূলীয় অঞ্চলের কৃষকরা ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ে তাদের ক্ষেত প্রস্তুত বীজ বপন ও বীজ থেকে গজানো গাছের পরিচর্যায় একসময় ফুলে ফলে ভরপুর হয়ে ওঠে ফসলীমাঠ। পাকা ফসলের দিকে তাকিয়ে কৃষকের চোখে মুখে ভেসে ওঠে আনন্দে, তৃপ্তির হাসি। গতানুগতিক এ বছরও উপকূলীয় অঞ্চলে কৃষকরা তাদের ক্ষেত প্রস্তুতির মধ্য দিয়ে বপন করা বীজের অঙ্কুরিত চারা পরিচর্যা শুরু করেছে। কিন্তু দীর্ঘ এক সাক্ষাৎকারে কৃষকদের চোখে মুখে ফুটে ওঠে স্পষ্ট দুশ্চিন্তার ছাপ। আলাপচারীতাই তাদের কাছ থেকে জানা গেল যাতায়াত ব্যবস্থা অনুন্নত থাকার কারণে তারা মৌসুমী এ ফল ভালো দামে বিক্রি করতে পারেনা। তার উপরে অতিরিক্ত তীব্র তাপ দহের কারণে পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা না থাকায় পানির সংকট পড়ে।

ক্ষেতে ঠিকঠাক পানি না দিতে পারার কারণে অনেক সময় ফসল ভালো হয় না। এছাড়া হঠাৎ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ক্ষয়ক্ষতির শিকারহন এ অঞ্চলের কৃষকরা। কৃষকদের দাবি পানি নিষ্কাশনের জন্য এক সময় পর্যাপ্ত খাল ছিল। বর্ষা মৌসুম এসব খাল দিয়ে পানি নিষ্কাশিত হত। গ্রীষ্ম মৌসুমে এসব খাল ভর্তি পানি কৃষি কাজে ব্যবহার করা হতো। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে এসব খালগুলো ভরাট হয়ে গেছে। এই খালগুলো যদি সরকারি ভাবে খননের উদ্যোগ নেওয়া হয় তবে উপকৃত হবে কৃষি পরিবার।