মোঃ মোমিন খান, আদমদীঘি (বগুড়া) সংবাদদাতা : বগুড়ার আদমদীঘিতে যেদিকে চোখ যায় সোনালী রংয়ের সমারোহ। যেন সোনালী রংয়ে সেজেছে পুরো মাঠ। ফসলের মাঠ তা দেখে কৃষকদের মনে দোলা দিচ্ছে এক ভিন্ন আমেজ। চলতি রোপা আমন মৌসুমে শুরু থেকে সময়মত বৃষ্টিপাত এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উপজেলায় রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে ।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, একটি পৌরসভা ও ছয়টি ইউনিয়ন মিলে ১২ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের আবাদ করা হয়েছে। এবার কৃষকরা বেশিরভাগ জমিতে বিনা-১৭, স্বর্ণা - ৫ ও ৫১ ব্রি-৩৪ ব্রি-৩৬ জাতের ধান চাষ করেন। জমিতে ধান রোপণ করার পর ধানগাছ সবুজ আকার ধারণ করার পর পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে কৃষকরা কেউ কীটনাশক স্প্রে, কেউ বা দানাদার প্রয়োগ করনে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, এখন পর্যন্ত আমন ধানের গাছপাতা বেশ ভাল রয়েছে। আমনের ক্ষেতে তেমন কোন রোগ বালাই দেখা যায়নি। আমন ধানের গাছ ভাল রাখতে আর ধানের উৎপাদন বাড়াতে কৃষকরা জমির আগাছা পরিষ্কার ও কীটনাশক স্প্রে করে থাকেন। এবারে মাঠের ফসলে তেমন কোন রোগ বালাই না থাকায় বেশ হাসিখুশি রয়েছেন কৃষকরা। আর কোন প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবারো রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। উপজেলার চকবাড়িয়া গ্রামের কৃষক কামাল হোসেন সেলিম হোসেন জানান, এ বছর আমন ক্ষেত এখন পর্যন্ত ভালই রয়েছে। পুরো মাঠ রোপা আমন ধানের শীষ বের হয়ে সোনালী রংয়ে সেজেছে। আকাশের পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত ও আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় আর তেমন কোন প্রকার রোগ বালাই না থাকার কারণে এবারো আমন ধানের বাম্পার ফলন হবে বলে তারা আশা করছেন। উপজেলা কৃষি অফিসার রবিউল ইসলাম জানান, এবারে আমন ধানে পোকার আক্রমণ কম থাকায় আমন ধান উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। এখন পর্যন্ত ফসলের মাঠ ভালো থাকায় গতবারের তুলনায় এবার ফলন বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।