শিবালয় (মানিকগঞ্জ) সংবাদদাতা: মৌসুমের শুরুতে শীতকালীন সবজি ঠিকমতো আবাদ ও পরিচর্যা করে যদি ঘরে তুলতে পারে, তাহলে কৃষকরা ভালো লাভবান হতে পারবে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলতি বছর পরিবেশ অনুকূলে থাকায় কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই খেত থেকে উঠবে শীতকালীন শাক-সবজি। বেশি লাভ ও বাম্পার ফলন হবে এমনটাই ধারণা সাধারণ কৃষকদের। এ কারণে এলাকার অনেক কৃষক অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার অগ্রিম চাষাবাদ শুরু করেছেন।
মানিকগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (খামার বাড়ি) শাহজাহান সিরাজ বলেন, মানিকগঞ্জের সব উপজেলাতেই আগাম আলু রোপণ করা হয়েছে। ১৫/২০ দিনের মধ্যেই বাজারে আলু পাওয়া যাবে। কৃষকরা ন্যায্য দাম পেলে তারা লাভবান হবে। অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার মানিকগঞ্জের কৃষকরা আলু, কপিসহ সকল প্রকার সবজি চাষের ক্ষেত্রে ব্যাপক এগিয়ে রয়েছে। তবে আবহাওয়া ভালো থাকলে আলুর ফলন ভালো হবে।
চলতি মৌসুমে জেলাতে ৪ হাজার ৯১৩ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ হয়েছে। গত বছরের চেয়ে এবার ৯৯ হেক্টর জমিতে আলু চাষ বেশি হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ২০ হেক্টর জমিতে আগাম আলু চাষ করা হয়েছে। অফিসের সকল কর্মকর্তা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের দিক-নির্দেশনা ও বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন। আশা করি এবার আলুর ফলন ভালো হবে।
এম এ কাইয়ুম চৌধুরী, শিবালয় (মানিকগঞ্জ) সংবাদদাতা: মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় শীতের শুরুতেই কৃষকরা আগাম আলু চাষে ব্যস্তসময় পার করছেন। গত বছরের লোকসান পুষিয়ে নিতে নতুন আশার আলো নিয়ে সোনালি দিনের রঙিন স্বপ্ন দেখছেন গ্রামাঞ্চলের সাধারণ কৃষক। কঠোর পরিশ্রম করে তারা আগাম আলু চাষে ব্যস্তসময় পার করছেন। তারা কেউ জমিতে সার দিচ্ছেন, কেউ লাঙ্গল দিচ্ছেন, কেউ আগাছা দমন, কেউ বীজ বপন, কেউ নিড়ানি দিচ্ছেন, কেউবা কোল বেঁধে ক্যানেল দিচ্ছেন। কর্মহীন মানুষেরও মিলছে কাজ।
নারী শ্রমিকরা প্রতিদিন তিন বেলা খেয়ে ৪৫০ টাকা এবং পুরুষ ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা পাচ্ছে। ৭টি ইউনিয়নের কৃষকেরা রাত-দিন কঠোর পরিশ্রম করছেন। এরই মধ্যে কৃষকরা লালশাক, সিম, ফুল কপি, বাঁধা কপি, শশাসহ বিভিন্ন সবজির চাষাবাদ শুরু করেছেন। আর তিন চার সপ্তাহ পরে এসব সবজি তারা বাজারজাত করবেন। সকাল বেলার হিমেল হাওয়া উপেক্ষা করে খেত পরিচর্যা করে নতুন আশার আলো দেখছেন নবরূপে। দিগন্তজোড়া ফসলের মাঠ দেখে তাদের আনন্দের সীমা নেই।
ঘিওর, বড়টিয়া, সিংজুরী, বালিয়াখোড়া, বানিয়াজুরী, নালী ও পয়লাতে ডায়মন্ড, ভ্যানালা, গ্র্যানুলা, কারেজ, জামপ্লাস জাতের আলু বপন করেছে সাধারণ কৃষক। আলুর ফলন ভালো হওয়ার জন্য কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে মাঠে গিয়ে কৃষকদের সকল প্রকার পরামর্শ দিচ্ছেন। ঘিওর, পয়লা, সিংজুরী বালিয়াখোড়া নালী এলাকার জমিতে কৃষকেরা আগাম জাতের আলুর বীজ রোপণ করছেন। কৃষকেরা বলেছেন, এবার আবহাওয়া ও পরিবেশ অনুকূলে থাকার দরুন সময়মতো আলু কেটে আলু রোপণ করতে পেরেছেন। মৌসুমের শুরুতেই আলু বাজারে তুলতে পারলে ভালো দাম পাওয়া যাবে। আলু চাষি জয়নাল বলেন, গত বছর আলু চাষ করে অনেক টাকা ক্ষতি হয়েছে।