বোদা (পঞ্চগড়) সংবাদদাতা : ভুল কীটনাশক দেয়ায় ৮৪ বছরের বৃদ্ধ এক কৃষকের ৮ শতক জমির ধানের চারা পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। ৫ বিঘা জমিতে এ চারা লাগানোর কথা ছিলো কৃষক আব্দুল গণীর। বিষয়টি বিক্রেতাকে জানানোর পরও তিনি কর্ণপাত করেননি বলেন জানান আব্দুল গণীর ছেলে আব্দুল মান্নান। ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার সাকোয়া ইউনিয়নের বকশিগঞ্জ ইউনিয়নে।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কৃষক আব্দুল গণী স্থানীয় বকশিগঞ্জ বাজারের কীটনাশক ব্যবসায়ী ইসহাক আলী কাছে গিয়ে ঘাস মারার কীটনাশক (চেঞ্জার) চান। কিন্তু বিক্রেতা একটি বোতলে করে বন দমনের (প্যারাকড) ওষুধ দেন। ঐ কীটনাশকের সাথে লবণ মিশ্রণ করে প্রয়োগ করার পরামর্শও দেন বিক্রেতা ইসহাক আলী। সেদিনই কৃষক আব্দুল গণী সে কীটনাশক ক্ষেতে প্রয়োগ করেন। ঘন্টাখানেক পরে তিনি দেখেন ৮ শতক জমির ধান চারা সব জ্বলে পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। এবিষয়ে ভুক্তভোগী কৃষকের ছেলে আব্দুল মান্নান বলেন, আমি গতকাল-ই সন্ধায় বিষয়টি বিক্রেতাকে জানিয়েছি। তিনি আমার কথায় কোনো কর্ণপাত করেননি। এবিষয়ে ভুক্তভোগী কৃষক আব্দুল গণী (৮৪) বলেন, আমি কীটনাশকের দোকানে গিয়ে ধান চারার ঘাস মারার ওষুধ চেয়েছি। তিনি যে ওষুধটা দিয়েছেন সেটাতে আমার সম্পূর্ণ ক্ষেত পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। আমি এর উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দাবি করছি। এবিষয়ে হাজী ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী ইসহাক আলী বলেন, ওই কৃষক বন মারা চেয়েছে বন মারা কীটনাশকই দেয়া হয়েছে। তিনি যা চেয়ে তাই দেয়া হয়েছে। তিনি ১০০ গ্রাম চেয়েছে ১০০ গ্রামই দেয়া হয়েছে। তিনি কোথায় প্রয়োগ করেছে সেটাত জানি না !

এবিষয়ে বোদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহরিয়ার নজির বলেন, তিনি যে দোকান থেকে কীটনাশক ক্রয় করেছেন, তার লাইসেন্স আছে কি না ! কৃষি অফিস থেকে ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ আছে। যে ব্যক্তির কাছ থেকে ক্রয় করেছে তার যদি লাইসেন্স থাকে, তাহলে তার লাইসেন্সের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যাবে। লাইসেন্স না থাকলে লাইসেন্সবিহীনের জন্য ব্যবস্থা নেয়া যাবে।