তাড়াশ সিরাজগঞ্জ : খাদ্যশস্য ভান্ডার খ্যাত সিরাজগঞ্জের তাড়াশ চলনবিল মাঠ থেকে বর্ষার পানি েেনমে যাওয়ায় ক্ষেতের বোনা আমন ধান কাটা শেষে জমি পরিষ্কার করে কাদামাটিতে সাদাসোনা খ্যাত মসলা জাতীয় ফসল রসুন লাগাতে শুরু করেছে এ অঞ্চলের কৃষকও কৃষাণীরা।
দিন মজুরদের পাশাপাশি কৃষক পরিবারের সদস্যরাও এই রসুন লাগানোর কাজে সক্রিয় অংশীদার, কারণ ক্ষেতের মাটি শুকিয়ে গেলে চাষের উপযোগীতা হারাবে ক্ষেত, যে কারণে সজাগ থাকতে হয় এবং বাড়তি যতœ নিতে হয়।
চলনবিলের মাটিতে চাষে এবং বিনা চাষে রসুন রোপণ করা যায়, রোপনকৃত রসুন এক সপ্তাহের মধ্যেই চারা বের হয়। এদিকে কৃষকরা বলছেন, গত মৌসুমে রসুনের ভালো ফলন এবং ভালো দাম পাওয়ায় এ মৌসুমে বীজ ও উপকরণের দাম বিগত বছর গুলোর তুলনায় বেড়েছে কয়েকগুন। ফলে চলতি মৌসুমে রসুন চাষে প্রতি বিঘায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা ব্যয় হবে। তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে তাড়াশ উপজেলায় রসুন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৪০ হেক্টর জমি, এখন পর্যন্ত অর্জিত হয়েছে ৪৩৫ এছাড়া বিনাচাষে ৪৭০ হেক্টর জমিতে রসুন আবাদ হয়েছে। তাড়াশ উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, রসুন চাষ ঘিরে কর্মমুখর হয়ে উঠেছে কৃষক পরিবারগুলো।
জানা যায়, চলনবিল অঞ্চলে বিগত দুই দশক ধরে বিনাচাষে রসুনের আবাদ করে কৃষকেরা অধিক লাভবান হওয়ায় চলনবিলের তাড়াশ, গুরুদাসপুর, সিংড়া, বড়াইগ্রাম, চাটমোহরসহ আরো অনেক উপজেলায় বর্তমানে এই পদ্ধতিতে রসুন চাষ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।চাষ পদ্ধতি, আমন কাটার এক দুই দিনের মধ্যে ধানের খড় (লারা) তুলে জমি প্রস্তত করতে হয়। এরপর প্রয়োজনীয় সার-কীটনাশক দিয়ে কাঁদার ওপরে রসুনের একটি করে কোয়া রোপন করতে হয়। রোপণকৃত রসুনের ক্ষেত ধানের খড় বা কচুরী পানা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়, ঢেকে দেওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যই রসুনের চারা গজায়।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শর্মিষ্ঠা সেন গুপ্তা জানান, প্রতিবিঘা জমিতে ৩০-৪০ মণ হারে রসুন উৎপাদন হয়। খরচ বাদ দিয়েও অনেক লাভবান হন কৃষকরা।