কৃষি
শ্রীমঙ্গলে সূর্যমুখী চাষে লাভের স্বপ্ন কৃষকের
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে সূর্যমুখী ফুল চাষে লাভের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। স্বল্প খরচে অধিক লাভজনক হওয়ায় সূর্যমুখী ফুলের চাষ বেড়েছে উপজেলায়। শ্রীমঙ্গল উপজেলার ২নং ভূনবীর ইউনিয়নের পশ্চিম
Printed Edition

শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) সংবাদদাতা : মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে সূর্যমুখী ফুল চাষে লাভের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। স্বল্প খরচে অধিক লাভজনক হওয়ায় সূর্যমুখী ফুলের চাষ বেড়েছে উপজেলায়। শ্রীমঙ্গল উপজেলার ২নং ভূনবীর ইউনিয়নের পশ্চিম লইয়ারকুল এবং ৫নং কালাপুর ইউনিয়নের পশ্চিম মাজদিহি গ্রামে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, সূর্যমুখী চাষ করা ক্ষেতে এখন ফুলের সমারোহ। সহস্রাধিক সূর্যমুখী ফুল পূর্ণতা নিয়ে বাতাসে দোলা খাচ্ছে। সবুজ পাতার আড়ালে মুখ উচুঁ করে আছে সূর্যমুখী। সূর্যমুখীর হাঁসিতে হাসছে মাঠ। চারিদিকে সবুজের মাঝে হলুদের সমারোহ। আর এই হলুদ প্রকৃতিকে করেছে আরোও লাবন্যময়। সূর্য যেদিকে ফুলের মুখও সেদিকে। তাই এটাকে সূর্যমুখী বলে। নয়নজুড়ানো এ দৃশ্য মোহিত করছে সবাইকে। প্রতিদিন আশপাশ এলাকা থেকে সৌন্দর্য পিয়াসুরা দল বেঁধে আসেন সূর্যমুখী ফুলের বাগান দেখতে।
উপজেলার ২নং ভূনবীর ইউনিয়নের পশ্চিম লইয়ারকুল এলাকার মৃত আব্দুর রাজ্জাক এর ছেলে মো. খলিল মিয়া (৫০) তার নিজ জমিতে এবার সূর্যমুখী চাষ করছেন। আলাপকালে তিনি বলেন, গত বছরও আমি সূর্যমুখী চাষ করেছিলাম, কিন্তু ঝড়-তুফানে ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় লোকসানের শিকার হই। তাই এবার ৭ শতক জমিতে আমি সূর্যমুখী চাষ করি। গত ডিসেম্বর মাসে আমি চাষ শুরু করি। কৃষি অফিস থেকে আমাকে বীজ ও সার দিয়ে সহযোগিতা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত আমি ক্ষেতে প্রায় আড়াই হাজার টাকা খরচ করেছি। ফলন ভালো হয়েছে। তবে প্রতিদিন ভোরে টিয়া পাখি এসে বীজ খেয়ে ফেলে। এরপরও আমি আশাবাদি এই ক্ষেত থেকে দুই-তিন মন বীজ সংংগ্রহ করে বিক্রি করতে পারবো। বাজারে বীজের দাম বাড়তি থাকলে লাভবান হওয়ার আশা করছেন তিনি।
সূর্যমুখী চাষিরা জানান, সূর্যমুখী ফুলের বীজ থেকে তেল ও খৈল হয়। ফুলের ক্ষেতে মৌচাক বসিয়ে বাণিজ্যিকভাবে মধুও সংগ্রহ করা যায়। এছাড়া শুকিয়ে যাওয়া গাছ জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। সূর্যমুখী বীজ বপনের ৯০ থেকে ১০৫ দিনের মধ্যেই ফুল থেকে বীজ ঘরে তুলতে পারেন। চাষিদের মতে কম খরচে ও অতি অল্প সময়ে সূর্যমুখী ফুল চাষ করে অধিক লাভবান হওয়া যায়। এ ফসল চাষে কম খরচে বেশি লাভবান হওয়ায় অন্যান্য চাষিরাও সূর্যমুখী চাষে আগ্রী হ”েছন। আগামীতে শ্রীমঙ্গল উপজেলায় সূর্যমুখী চাষ আরও বাড়বে বলে চাষিরা বলছেন।