বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা : চট্টগ্রামের বাঁশখালীর পূর্ব পুঁইছড়ি ৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় রাতের আঁধারে কৃষি জমি ধ্বংস করে অবৈধ ভাবে মাটি বিক্রি করে লাখ লাখ অবৈধ উপার্জন করছে সক্রিয় মাটি খেকো সিন্ডিকেট চক্র,খবর পেয়ে নির্ঘুমে গভীর রাতে অভিযান পরিচালনা করে প্রশংসায় ভাসছেন এসিল্যন্ড ওমর সানী আকন।

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) গভীর রাতে উপজেলার পূর্ব পুঁইছড়ির ৫ নম্বর ওয়ার্ড বশিরা বাপের বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ওমর সানী আকন এর নেতৃত্বে নির্ঘুমে এঅভিযান পরিচালনা করা হয়।

স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, পুঁইছড়ির জয়নাল আবেদীন, জসিম উদ্দিন এবং সামিউদ্দিন এর নেতৃত্বাধীন একটি প্রভাবশালী মাটি খেকো সিন্ডিকেট চক্র দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকার পাহাড় ও কৃষি জমি ধ্বংস করে রমরমা মাটি ব্যবসা করে আসছিল, পূর্ব পুঁইছড়ি পাহাড়ির ছরার বাঁধ কেটে ওই বাঁধের মাটি বিক্রি করে দিয়েছে এসিন্ডিকেট। বাঁধটির বর্ষার নিয়ে গেছে তারা।

এতে লাখ লাখ টাকা অবৈধ উপার্জন করলেও তাদের এমন অনৈতিক কাজের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পেতো না। এরইমধ্যে পূর্ব পুঁইছড়ির বশিরা বাপের বাড়ি সংলগ্ন কৃষি জমি ধ্বংস করে রাতের আঁধারে মাটি কেটে নেয়ার খবর পেয়ে পালিয়ে তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় অন্তত অর্ধশতাধিক মানুষ বলেন, খাইর আহমদ তালুকদার, আবুল কাশেম এবং আফতাব উদ্দীনসহ বেশ কিছু মানুষ জয়নাল আবেদীন,জসিম উদ্দিন এবং সামিউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন একটি প্রভাবশালী মাটি খেকো সিন্ডিকেট চক্রের সাথে জড়িত। স্কেভেটর মালিক সামিউদ্দিন, ডেম্পার (ট্রাক) মালিক ফরহাদ চৌধুরী, নজরুল ড্রাইভার, ছিদ্দিক, ভেট্টু ড্রাইভারদের স্কেভেটর এবং ডেম্পার ট্রাক দিয়ে ওইসব মাটি কেটে নেওয়া হয়। প্রশাসনের দৃষ্টি ফাঁকি দিতে মাটি কাটার জন্যে রাতের আঁধারকে নিরাপদ সময় হিসেবে বেঁচে নিয়েছে মাটি খেকোরা। এছাড়াও মাটি কাটার সময় প্রশাসন যাচ্ছে কিনা তা দেখার জন্যে নাপোড়া বাজার, প্রেমবাজার, চাম্বল বাজারসহ প্রধান সড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট গুলোতে তাদের সোর্স থাকায় প্রশাসন যাওয়ার আগেই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় মাটি খেকোরা। প্রভাবশালী মাটি খেকো সিন্ডিকেট চক্রের অনৈতিক কাজের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করারও সাহস করেনা।

কৃষি জমি ধ্বংস করে অবৈধ ভাবে মাটি কাটার খবর পাওয়ার সাথে সাথে প্রচন্ড শীতকে উপেক্ষা করে গভীর রাতে এসিল্যান্ডের নেতৃত্বে প্রশাসনিক টিম নির্ঘুমে সাহসী অভিযান পরিচালনা করায় পুরো এলাকাজুড়ে প্রশংসায় ভাসছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ওমর সানী আকন। স্থানীয়দের ভাষ্য, এধরণের বাস্তবমুখী অভিযান অব্যাহত থাকলে কোনো অপরাধ চক্র পাহাড়ি প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং কৃষি জমি ধ্বংস করার সাহস পাবেনা। এবিষয়ে বাঁশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ওমর সানী আকন বলেন,অপরাধীরা যতই শক্তিশালী হোক না কেন অপরাধ করে কেউ পার পারবেনা, জনস্বাথের্ে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।