DailySangram-Logo-en-H90
ই-পেপার আজকের পত্রিকা

কৃষি

লালমনিরহাটে চাকরি না পেয়ে স্ট্রবেরি চাষে সাফল্য বেকার জাহিদের

ছয় বছর আগে স্নাতক পাশ করেছেন লালমনিরহাটের জাহিদ হোসেন বসুনিয়া। এরপরেই চাকুরি নামে সোনার হরিণের পেছনে ছুটাছুটি করেন কয়েক বছর। দীর্ঘদিন চাকুরির চেষ্টা করে যখন কোনো কুল কিনারা পাচ্ছিলেন

Printed Edition
Untitled-5

কালীগঞ্জ (লালমনিরহাট) সংবাদদাতা : ছয় বছর আগে স্নাতক পাশ করেছেন লালমনিরহাটের জাহিদ হোসেন বসুনিয়া। এরপরেই চাকুরি নামে সোনার হরিণের পেছনে ছুটাছুটি করেন কয়েক বছর। দীর্ঘদিন চাকুরির চেষ্টা করে যখন কোনো কুল কিনারা পাচ্ছিলেন না ঠিক তখনি নিজে কিছু করার উদ্যোগ নেন জাহিদ। শুরু করেন স্ট্রবেরি চাষ। আর এতেই অল্পদিনের মধ্যেই ব্যাপক সারা ফেলেন লালমনিরহাটের স্নাতক পাশ করা বেকার জাহিদ বসুনিয়া।লালমনিরহাট জেলার মহেন্দ্র নগর ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মনোরম গ্রামের বাসিন্দা জাহিদ বসুনিয়া। সাধারণ ইতিহাসে স্নাতক পাস করে চাকরির সন্ধানে না গিয়ে নিজেই ২০১৯ সালে পুরোপুরিভাবে বিভিন্ন ধরনের ফলনে কৃষি কাজ শুরু করেন।২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রথম বছরই প্রথমবারের মতো স্ট্রবেরি চাষ শুরু করেন। ওই বছরই ১৮ হাজার চারা করে তিন বিঘা জমিতে স্ট্রবেরি চাষ করেন। এটি এখন দেড় বিঘায় চাষ করছেন।

জাহিদ বসুনিয়া জানান, ২০২৩ সালে বগুড়া জেলা সদর থেকে টিস্যু কালচারের স্ট্রবেরি চারা নিয়ে এসে ডিসেম্বরে জমিতে চারাগুলি রোপণ করেন। সব মিলিয়ে প্রায় এখন ১০ হাজার গাছ রয়েছে। প্রতি বছর মার্চ মাসের প্রথম দিকে এর ফল সংগ্রহ শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে এই গাছগুলি থেকে প্রায় দুইদিনে ৭০ কেজির মতো স্ট্রবেরি বিক্রি করেছেন। প্রতি কেজি ফল পাইকারি ৫০০থেকে ৫৫০ দামে বিক্রি করেন।

জাহিদ তিনি আরে জানান, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও জেলা সদরের এলাকার লোকজন স্ট্রবেরি কিনে নিচ্ছেন। সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতিতে এগুলি চাষ করেছেন তাই লোকজন অনেক বেশি আগ্রহ নিয়ে ফল কিনছেন। আগামী ১ মাস পর্যন্ত গাছগুলি থেকে নিয়মিতভাবে ফল পাওয়া যাবে। এরপর যদি গাছে বাড়তি যত্ম এবং ওপরে ছায়া দেওয়ার জন্য সেড তৈরি করে দেওয়া হয় তবে আরো ২ মাস ফল পাওয়া যাবে। এ জন্য ফলগুলো বিক্রির জন্য তিনি কিছু পন্থা অবলম্বন করেন।

তিনি তার স্ট্রবেরি বাগানের রক্তের মতো লাল রঙের ফলের ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আপলোড করে দেন। পরবর্তীতে ক্রেতারা এই ছবিগুলো দেখেই কৃষক জাহিদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। তখন থেকেই তার ব্যবসা অগ্রসর হতে শুরু করেন।

তিনি বলেন, লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতা পেলে ফলন বৃদ্ধিসহ চাহিদা আরো বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবো ইনশাআল্লাহ।

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার কৃষিবিদ শাহ আলম মিয়া জানান, জাহিদ বসুনিয়া একজন সফল কৃষক। চাকরি না পেয়ে নিজে স্বাবলম্বী হতে তার সামান্য জমিতে স্ট্রবেরি চাষ শুরু করেন। এতেই সাফল্য পেয়ে যান তিনি। হয়ে ওঠেন স্বাবলম্বী। তার এই সাফল্য দেখে অনেক বেকার যুবক এই স্ট্রবেরি চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।