শাহজাহান তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা : চলনবিলের পাবনা নাটোর ও সিরাজগঞ্জে তাপাদ্রহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে সূর্যের প্রখরতাও বাড়তে থাকে। গরমের কারণে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। অনেকেই কাজ করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলে জানা গেছে। গত রোববার দুপুরে সিরাজগঞ্জের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। তীব্র গরমে মানুষের পাশাপাশি প্রাণীকুলও ব্যাকুল হয়ে পড়েছে।
এদিকে সূর্যের প্রখর তাপে সাধারণ মানুষের জীবন পুরোপুরিভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি না হওয়া আর প্রচন্ড রোদে ঘর থেকে বাইরে বের হয়ে কাজ করা দুরূহ হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে শ্রমিক, দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের। ভ্যান-রিকশা চালকরা গরমে অস্থির হয়ে পড়েছেন। রিকশা, ভ্যানের ভাড়াও বেড়েছে দ্বিগুণ। বেলা বাড়ার সাথে সাথে রাস্তায় চলাচল ও ফসলি মাঠে লোকজনের কাজ করতে কষ্ট হচ্ছে। এরপরও খেটে খাওয়া মানুষগুলো জীবন জীবিকার তাগিদে ও জরুরি প্রয়োজনে প্রচন্ড গরমকে উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছেন। ধান কাটা শ্রমিকের মজুরি একলাফে ৫শ’ থেকে ৭শ’ টাকা হয়েছে। পাশাপাশি শিশুসহ শিক্ষার্থীরাও পড়েছে বিপাকে। সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আকিকুন নাহার বলেন, গত কয়েকদিনের প্রচন্ড গরমে জ্বর, ঠান্ডা, ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ১শ’ থেকে দেড়শ’ রোগী ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধের সংখ্যা বেশি। তাছাড়াও উল্লেখিত কারণে অনেক রোগী আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি আক্রান্তদের পর্যাপ্ত পানি ও তরল জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শসহ সুস্থদের ২/৩ বার গোসলের পরামর্শ দেন।
ব্রিজের ওপর পড়েছিল ছেলের লাশ : পাবনার চাটমোহর হান্ডিয়াল চরনবীন সড়কের ছাইকোলা ব্রিজের ওপর ছালমান নামক ৯ বছর বয়সের শিশুর লাশ পড়েছিল। পুলিশে খবর দেয় জনতা। ছালমান উপজেলার চরনবীন গ্রামের মো. ছাবের আলীর ছেলে। পরিবার থেকে জানান, সে দীর্ঘদিন আগে মাথায় আঘাত পেয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে চলাফেরা করতো। প্রত্যক্ষদর্শী ও হান্ডিয়াল ইউপি মহিলা সদস্য মোছা. জমেলা খাতুন বলেন, শনিবার সকাল প্রায় ৯ টায় বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি ছালমান। তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে পায়নি পরিবারের লোকজন। ভোরে মুসল্লিরা নামাজ পরে যাওয়ার সময় ছাইকোলা ব্রিজের ওপর ভুট্টা শুকানো নেট জালের নিচে তার লাশ দেখতে পায়। স্থানীয়রা ধারণা করছেন, রাতের কোন এক সময় সে ওই ভুট্টা শুকানো জালের নিচে শুয়ে ছিল। চলন্ত কোন গাড়ি তার গায়ের ওপর দিয়ে চলে যাওয়ায় তার এ মৃত্যু হয়েছে।
এ বিষয়ে চাটমোহর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনজুরুল আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, স্থানীয়রা বিষয়টি চাটমোহর থানায় অবগত করেন। থানা পুলিশ দ্রুত লাশ উদ্ধার করেন। পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না করায় পরিবারের নিকট লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।