হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) সংবাদদাতা : মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে কাঁচা মরিচের বাম্পার ফলন হলেও দাম কম থাকায় হতাশায় ভূগছে মরিচ চাষিরা।

মানিকগঞ্জে কাঁচা মরিচ- পিয়াজের জন্য বিক্ষাত উপজেলার নাম হচ্ছে হরিরামপুর উপজেলা। এ উপজেলার প্রতিটি এলাকাতেই প্রচুর পরিমাণ পিঁয়াজ- মরিচের আবাদ হয়ে থাকে। কৃষি কর্মকর্তার তথ্যমতে এবছর চলতি মৌসুমে হরিরামপুর উপজেলায় ১৮৬৫ হেক্টর জমিতে কাঁচা মরিচের আবাদ হয়েছে, ফলনও ভলো।কিন্ত দাম কম থাকায় হতাশায় ভূগছে মরিচ চাষিরা।

সরেজমিনে গেলে মরিচ চাষিরা জানান,একই জমিতে একি সাথে পিঁয়াজ এবং মরিচের চাষ করা হয়। মরিচ গাছ বড় হতে না হতেই ২/৩ মাসের মধ্যে পিঁয়াজ উঠানো শেষ হয়ে যায়। এরপর শুরু হয় মরিচ।

গেলো বছরের চেয়ে এবছ মরিচের আমদানি বেশী হওয়ায় নিজ জেলার চাহিদা মিটিয়েও এখানকার কাঁচা মরিচ দেশের প্রায় ১২/১৩ টি জেলায় রপ্তানি করা হয়। এখানকার মরিচ বিদেশেও রফতানি হয়ে থাকে।

চাষিরা আরো জানান,মৌসুমের শুরুতে মরিচের জাত ভেদে প্রতি কেজি মরিচ ৬০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। কিন্ত বর্তমানে মরিচের দাম কমে ২০-২৫ ও ৪০-৫০ টাকায় নেমে এসেছে। হঠাৎ দাম কমে যাওয়ায় হতাশ হয়ে পরেছে উপ-জেলার শতশত মরিচ চাষিরা।

হরিরামপুর ঐতিহ্যবাহী বাজার ঝিটকা বাজার। যাএখন পিঁয়াজ মরিচের আড়ত হিসেবে পরিচিত । তবে ব্যবসায়ীদের অর্ন্তকোন্দলে ঝিটকার পিঁয়াজ মরিচের আড়ত দুই ভাগ হয়ে গেছে। একি উপজেলার একটি ঝিটকা বাজার এবং অপরটি ভাদিয়াখোলা বাজার।

আড়তদার ব্যাবসায়ীরা জানান, দুই বাজারের আরদসহ এলাকা থেকে প্রতিদিন প্রায় দুই শত টনের অধিক মরিচ দেশের বিভিন্ন জেলায় রপ্তানি হয়ে থাকে।

বাল্লা ইউনিয়নের সরফদীনগর গ্রামের মরিচ চাষি মো নাসির উদ্দীন জানান, আমরা তিন বিঘা জমিতে মরিচের আবাদ করেছি। ফলনও ভাল হয়েছে। কিন্তু মরিচের দাম কম হওয়ায় চিন্তায় আছি। কারন এককেজি মরিচ তুলতর খরচ হয় ১০টাকা। এরপর গাড়ি ভাড়া আছে। সবমিলিয়ে যেইটাকা খরচ হয় তাতে পুশিয়ে উঠতে পারছেনা মরিচ চাষিরা।