শাহজাহান তাড়াশ সিরাজগঞ্জ : চলনবিলের বিভিন্ন উপজেলার মাঠে মাঠে বোরো ধান পাকতে শুরু করেছে। বোরো ধানের সোনালী শীষে এখন দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন। পাকা ধান ঘরে উঠাতে খোলান প্রস্তুতিতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন হাজার হাজার কৃষক।

কৃষি অফিসের তথ্যমতে, এবার তাড়াশ উপজেলার ৮ ইউনিয়নে ২৩ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। চাটমোহর ভাঙ্গুড়া সিংড়া,গুরুদাসপুর ধান নির্ভরশীল এলাকা হিসেবে প্রধান আবাদই বোরো ধান। এবারে লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। ধান রোপণের শুরু থেকেই অনুকূূল আবহাওয়া ও সঠিক পরিচর্যায় এবারের বোরো ধান মাঠে মাঠে দর্শনীয় হয়ে উঠেছে। বেশ কিছু এলাকায় আগাম জাতের ধান পাকতেও শুরু করেছে। অধিকাংশ এলাকার মাঠ জুড়ে সোনালী রঙে রঙিন হয়ে উঠেছে বোরো ধানের শীষ। আর এ সোনালী শীষে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন। তাড়াশ উপজেলার হামকুড়িয়া গ্রামের কৃষক আলতাফ, আলাউদ্দিন বলেন, আমাদের এলাকার প্রধান আবাদই বোরো ধান। বোরো ধানের মধ্যে ২৯ জিরাসাইল ধানের আবাদ আমাদের এ এলাকাতে সর্বাধিক পরিমাণ জমিতে করা হয়েছে। কিছু কিছু জমিতে নতুন ব্রি-৮১ জাতের ধানের চাষ করা হয়েছে। শুরু থেকেই আবহাওয়া ভাল থাকায় ধানের শীষগুলো দর্শনীয় হয়ে উঠেছে। প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হলে এবারে বাম্পার ফলন হবে বলে আমরা আশাবাদি। কোন ধরণের দুর্যোগে যেন আমাদের এ আবাদ নষ্ট না হয় এ জন্য আমরা সব সময় আলাহ-বিল্লাহ করছি।

তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিসার মামুন বলেন, বোরো চাষে কৃষকরা যাতে প্রতারিত না হন এ জন্য শুরু থেকেই আমরা মাঠ পর্যায় তদারকি করেছি। বিশেষ করে বীজ, সার ও সেচ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। এ ছাড়াও অল্প খরচে অধিক ফলনের জন্য আমরা কৃষকদের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করেছি। বিশেষ করে বোরো ধান বোপণের শুরু থেকেই আমাদের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায় কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ প্রদান করেছেন। এ জন্য এবারে উপজেলা জুড়ে বোরো ধানের অবস্থান খুবই ভালো।