সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের মতো তৃতীয় দিনে এসেও পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজার, দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির।

সারাদিনের লেনদেনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৩ পয়েন্ট।

বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৭ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৯৬ কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ৮২ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ২৫০ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম নিম্নমুখী। বিশেষ করে লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির এ ক্যাটাগরিতে ৫১ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দাম কমেছে ১৩৯ কোম্পানির। অপরিবর্তিত আছে ২৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ব্লক মার্কেটে ৩১ কোম্পানির ২৬ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি সর্বোচ্চ ৬ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

সারাদিনে ঢাকার বাজারে ৭১৭ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে যা গতদিন ছিল ৮০৫ কোটি টাকা।

৮.৩০ শতাংশ দাম বেড়ে ঢাকার বাজারে শীর্ষে আছে কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স এবং ১০ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে উত্তরা বে লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট।

চট্টগ্রামেও পতন

ঢাকার মতোই সূচকের বড় পতন হয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক কমেছে ৬৫ পয়েন্ট।

সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ২৪৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৬৬ কোম্পানির, কমেছে ১৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সারাদিনে সিএসইতে ২৯ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আমান কটন এবং ৯ শতাংশের ওপরে দর হারিয়ে তলানিতে আইসিবি এএমসিএল সোনালি ব্যাংল লিমিটেড ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড। সূত্র: ইউএনবি