চট্টগ্রাম বন্দর উন্নয়নে বড় পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন।
তিনি জানিয়েছেন, চলতি বছরের শেষ নাগাদ এনসিটি, লালদিয়ার চর ও বে-টার্মিনালে অপারেটর নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
রোববার (১০ আগস্ট) বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনালে শিপিং ও লজিস্টিক এজেন্ট ডেস্ক উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য দেন।
আশিক মাহমুদের বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বর্তমানের তুলনায় বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে।
সোমবার (১১ আগস্ট) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি লেখেন, দেশের মোট বৈদেশিক বাণিজ্যের প্রায় ৯০ শতাংশই চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে সম্পন্ন হয়, তাই বিনিয়োগ আকর্ষণীয় করতে বন্দরের দক্ষতা বাড়ানো জরুরি।
তিনি উল্লেখ করেন, লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনালে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকার বিদেশি বিনিয়োগের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, যা দেশের ইতিহাসে অন্যতম বড় এককালীন প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই)।
বিডা চেয়ারম্যান আরও জানান, গত এক মাসে বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডলিং আগের মাসের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়েছে এবং জাহাজ ছাড়তে সময় কমেছে প্রায় আট ঘণ্টা। চট্টগ্রাম ড্রাই ডক লিমিটেড দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই এ অগ্রগতি হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এছাড়া বন্দর কর্তৃপক্ষ আরটিজিএস, স্বয়ংক্রিয় টিকেটিং সিস্টেম, অনলাইন এজেন্ট ডেস্কসহ বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তি চালু করেছে, যা কাজের গতি বাড়াচ্ছে ও দুর্নীতির সুযোগ কমাচ্ছে।
নতুন অপারেটর নিয়োগ প্রসঙ্গে আশিক মাহমুদ বলেন, বন্দরের প্রকৃত সম্ভাবনা কাজে লাগাতে প্রযুক্তি, বিনিয়োগ এবং দক্ষ ব্যবস্থাপনার সমন্বয় দরকার। এজন্য বিডা থেকে প্রক্রিয়ার জট দূর করতে নিয়মিত আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক চলছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বছর শেষের আগেই সব বন্দরের অপারেটর নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।