DailySangram-Logo-en-H90
ই-পেপার আজকের পত্রিকা

উদ্যোক্তা

প্রধান উপদেষ্টার সাথে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

বাংলাদেশে গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম চালিয়ে যেতে চায় রাশিয়া

গ্যাস অনুসন্ধানে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি গ্যাজপ্রম ইন্টারন্যাশনালের কাজের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করতে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সহযোগিতা চেয়েছে রাশিয়া। বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার গ্রীগোরিয়েবিছ খোজিন গতকাল মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ অনুরোধ জানান।

স্টাফ রিপোর্টার
Printed Edition
p1d
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বাংলাদেশে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার গ্রীগোরিয়েবিছ খোজিন-এর সাক্ষাৎ শেষে তাকে জুলাই অভ্যুত্থানের পরে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের আঁকা দেয়ালচিত্রের ওপর প্রকাশিত আর্ট অফ ট্র্যিয়াম্ফ বই উপহার দেন । -পিআইডি

গ্যাস অনুসন্ধানে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি গ্যাজপ্রম ইন্টারন্যাশনালের কাজের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করতে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সহযোগিতা চেয়েছে রাশিয়া। বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার গ্রীগোরিয়েবিছ খোজিন গতকাল মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ অনুরোধ জানান।

গ্যাজপ্রম ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশে কাজ করছে এবং গ্যাসের মজুত অনুসন্ধানে অংশীদার হিসেবে কাজ করেছে। ২০২৩ সালে গ্যাজপ্রম ইন্টারন্যাশনাল ভোলায় আরও অনুসন্ধানের জন্য পাঁচটি নতুন কূপ চিহ্নিত করে।

প্রধান উপদেষ্টা ভোলায় পাঁচটি কূপ খননের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির জন্য গ্যাজপ্রমকে ধন্যবাদ জানান এবং জানান যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে কাজ করছে এবং এ বিষয়ে আরও সহযোগিতার জন্য উন্মুক্ত। সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত সাধারণ ও বাণিজ্য সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।

২০২৪ সালে, বাংলাদেশে রাশিয়ান গমের সরবরাহ সর্বকালের উচ্চতায় পৌঁছেছে, যা দেশটিকে মিশরের পরে রাশিয়ান শস্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম ভোক্তা করে তুলেছে। ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত জিটুজি চুক্তির মাধ্যমে ৬ লাখ ২৩ হাজার টনসহ ২৩ লাখ টন রাশিয়ান গম বাংলাদেশে পৌঁছেছে।

রাষ্ট্রদূত জানান, বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে রাশিয়া বাংলাদেশকে ৩০ হাজার টন এমওপি সার সরবরাহের প্রস্তুতিও নিচ্ছে।

কৃষি ও জাহাজ নির্মাণ ক্ষেত্রে নতুন চাকরির গন্তব্য হিসেবে রাশিয়াকে চিহ্নিত করায় বাংলাদেশীদের ভিসা প্রদানের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে জানান।

২০২৫ সালের জানুয়ারি-মার্চ মাসে ইস্যু করা ভিসার সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় চারগুণ বেড়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টা মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সংকটময় সময়ে বাংলাদেশের পাশে থাকার জন্য রাশিয়াকে ধন্যবাদ জানান।